কলকাতা: দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে খুন হন রাজেশ ঝা ওরফে রাজু। সেই ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশের ওপরই আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। বলা হয়েছে, হলফনামায় থাকা সমস্ত তথ্য না জেনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ত্রুটিপূর্ণ ছিল।
কয়লা পাচারর সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ ছিল রাজু ঝার বিরুদ্ধে। তার খুনের ঘটনায় আপাতত পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সিট’ই তদন্ত করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আসলে এই খুনের তদন্ত সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছিল আদালত। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ঘটনার দিন রাজুর ঝা-র সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন আবদুল লতিফ। তাঁর নাম সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তবে আজ প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ বাতিল করে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ‘টিকিট‘ নিয়ে সম্মুখ সমরে নামলেন স্বামী স্ত্রী।” width=”853″>
ইতিমধ্যে সিট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে এই ঘটনায়। ঘটনার ১৯ দিনের মাথায় হয় প্রথম গ্রেফতারি। সন্দেহভাজন একজনকে দুর্গাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর রাঁচি থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও দু’জনকে। ঘটনার দিন শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে এক গাড়িতে বসেছিলেন রাজু। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, তাঁর গাড়ির ঠিক পিছনে একটি নীল গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছিল। ওই গাড়িটি থেকে ৩ জন নেমে এসে আচমকাই রাজুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।