RG Kar: রাত থেকেই কাজে যোগ! হাসপাতালে আচলাবস্থা কাটার পথে

RG Kar: রাত থেকেই কাজে যোগ! হাসপাতালে আচলাবস্থা কাটার পথে

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে চলতে থাকা অচলাবস্থা দ্রুত স্বাভাবিক করতে রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার পরেই সেখানে আন্দোলনরত পিজিটি রাত আজ কাজে যোগ দিয়েছেন। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ত্রিদিব মুস্তাফি এবং নার্সিং সুপার তৃষ্ণা সাহা আজ বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। এর পরে স্বাস্থ্য ভবন থেকে পিজিটিদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরেই অর্থোপেডিক এবং সার্জারির ইউনিট ফোরের পিজিটিরা কাজে যোগ দেন। এইদিকে জট কাটাতে ৩৮ টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা আজ স্বাস্থ্য ভবনে যান। সেখানে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য তাদের সঙ্গে বৈঠক করে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেন বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল থেকে আর কোন রোগীকে স্থানান্তর করা যাবে না বলে বৈঠকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও দ্রুত আউটডোর পরিষেবা চালু করা সহ যারা কাজে যোগ দিচ্ছেন বা নির্দেশ উপেক্ষা করে যোগ দিচ্ছেন না তাদের নাম উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ভবনে নিয়মিত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিন সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনে আর জি কর হাসপাতালের ৩৮টা বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন ডিএমই। সেখানে যাতে হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায় এবং রোগীদের ফিরে যেতে না হয় তার জন্যে কি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সেই নিয়ে রূপরেখা তৈরি করা হয়। প্রতিটা দফতরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিরা কর্মবিরতি করায় কার্যত অচলবস্থার পরিস্থিতি তৈরি হয় আর জি কর হাসপাতালে। প্রসঙ্গত, আরজিকরের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে সরব হয়েছেন পড়ুয়ারা৷ তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ওই অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করতে হবে৷ তা না হলে আন্দোলন চলবে৷

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তারা জানায়, তিন মাস ধরে পড়ুয়ারা আন্দোলন চালাচ্ছে। কিন্তু আর জি কর কর্তৃপক্ষ উদাসীন, তাই তারা অনশনে যেতে বাধ্য হয়েছে। এমনকি তাদের আরও অভিযোগ, অনশনকারীদের বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও রকম খোঁজ নেয়নি। কর্তৃপক্ষ এই রকম উদাসীন থাকলে অনশন, আন্দোলন চলবেই বলে জানায় তারা। তাদের আরও বক্তব্য, তারা স্বচ্ছ এবং গণতান্ত্রিকভাবে ‘স্টুডেন্ট কাউন্সিল’ গঠন করতে চেয়েছিল, কিন্তু অধ্যক্ষের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ তারা কোনও ভাবেই মেনে নেবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × four =