কলকাতা: পিঁয়াজের খোসার মতো একের পর এক উন্মুক্ত হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য৷ আইনের জালে জড়াচ্ছেন শাসকদলের একের পর এক নেতা৷ তাঁদের গ্রেফতারি নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। এই মামলায় সর্বশেষ গ্রেফতার হয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ৷ কুন্তলের সঙ্গে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই সুর চড়িয়েছে পদ্ম শিবির৷ শুক্রবার বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় বাঁকুড়া জেলা হাজিরা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে বোমা ফাটালেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।
এদিন যুব তৃণমূলনেত্রী সায়নী ঘোষরে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর কথায়, ‘‘সায়নী ঘোষ নাচতে নাচতে সবার বিরুদ্ধে মামলা করেন। কয়েক বছর আগে দেবাদিদেব মহাদেবকে নিয়ে তিনি অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। আমি বলছি কুন্তল ও সায়নী ঘোষের কোনও অবৈধ সম্পর্ক ছিল কিনা, সেটাও তদন্ত করে দেখা উচিত।’’
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কুন্তলের গ্রেফাতরির পরেই যুব তৃণমূলনেত্রী সায়নী ঘোষের সঙ্গে তাঁর একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে। এর পর থেকে লাগাতার বিরোধীদের নিশানায় পড়তে হচ্ছে সায়নীকে। বৃহস্পতিবার রুবি মোড় থেকে বেহালার শখের বাজার পর্যন্ত বাইক ব়্যালির আয়োজন করেছিল বিজেপি’র যুব মোর্চা। সেই ব়্যালি থেকে সায়নীকে নিশানা করেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্র পাল৷ তিনি লেন, ‘উনি তৃণমূলের যুব সংগঠনের নেত্রী। তাঁর সঙ্গে কুন্তল ঘোষকে দেখা গিয়েছে। কুন্তল কোটি কোটি টাকা চুরি করেছে, চাকরি চুরি করেছে। দুর্নীতে আর কে কে জড়িত আমরা জানতে চাই।’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>