কলকাতা: আনিসের সোশ্যাল মিডিয়া পাতা ক্রমেই রহস্যের জানা বুনছে৷ বিধানসভা নির্বাচনের পর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে নিহত ছাত্রনেতা লিখেছিলেন, ‘প্রয়োজন হলে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করব, কিন্তু মাথা নিচু করে নিজেকে দালালদের কাছে বিক্রি করব না’। আনিসের মৃত্যুর পর এই পোস্ট আরও বেশি করে নজর কেড়েছে৷ তাঁর কথা কী ভাবে মিলে গেল৷ তাঁর এই পোস্ট বিস্ময় জাগিয়েছে৷
আরও পড়ুন- চার্চায় আনিসের ‘সোশ্যাল লাইফ’! দেবাংশুর হাতেগরম প্রমাণে চমক
আনিসের সোশ্যাল মিডিয়ার পরতে পরতে চমক৷ একই দিনে বিজেপিকে ক্ষমতায় না আনার জন্য বাংলার মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ একইসঙ্গে বিজেপি বিরোধী আসনে উঠে আশায় উৎকণ্ঠাও প্রকাশ করছেন। সেই সঙ্গে অভিনন্দন জানান ভাঙড়ে আইএসএফ-এর একমাত্র জয়ী প্রার্থী নৌশাদ সিদ্দিকীকে৷ এর দিন কতক বাদে তাঁর বাড়িতে শাসক দলের প্রায় ১৫০ জন চড়াও হওয়া নিয়ে আবার সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিয়োয় সরব হন আনিস৷ তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি আনিসের ওই পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং পাড়ার একটি অনুষ্ঠানে বাধা দেন৷
মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছেন আনিস তাঁর ফেভারিট ছিলেন৷ অথচ আনিসের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে মিলেছে অন্য আভাস৷ আবার ৫ ডিসেম্বর আনিস লেখেন, ‘সিভিক ও পুলিশ যখন অত্যাচারী, জনগণকে হতে হয় প্রতিবাদী’! আনিস সোচ্চার হয়েছিলেন ভাঙড় বা নদিয়ায় পুলিশ লক-আপে পিটিয়ে মারার অভিযোগ নিয়েও৷ স্থানীয় পুলিশ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে আনিসের সম্পর্কে টানাপড়েন ছিল বলে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আনিস সরব হয়েছিলেন, হিজাব বিতর্কেও৷ চলতি মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি হিজাব পরা ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘অভিনেত্রী দিদি কেন নীরব’? আবার রাজ্যের সংখ্যালঘুদের অধিকারের প্রতি দায়বদ্ধতা বা ইউএপিএ-র জুলুম নিয়ে বাংলার শাসক দলের প্রতি বার বার ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন আনিস৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>