কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের বিষয় প্রকাশ্যে আসার পরেই ওএমআর শিট নিয়ে বিস্ফোরক কিছু তথ্য সামনে বেরিয়ে আসছে। আর তার জন্য কারোর চাকরি বাতিল হয়েছে, কেউ বা চাকরির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু প্রশ্নের ভুল উত্তর দিয়ে যারা চাকরি করছেন তাদের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চয়তার মুখে। কিন্তু এই ইস্যুতে এমন এক তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা অবাক করবে সকলকেই। খোদ এসএসসি জানে না একটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর। কার্যত সেটা জানতে ৫ বছর সময় নিয়ে নিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন- কীভাবে দেশের উচ্চশিক্ষায় জাতপাতের দাপট? উচ্চ শিক্ষার প্রথম ধাপেই কীভাবে ব্রাত্য দলিত?
২০১৬ সালের নবম-দশম শ্রেণির এসএলএসটি নিয়োগে ব্যাপক হারে দুর্নীতি হয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। শুধু তাই নয় যে ওএমআর শিট কারচুপি করা হয়েছিল সেটাও প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। তার পরেই বহু অজানা তথ্যের পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনের একটি বিষয়ও সামনে এসেছে। একটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে তফাৎ দেখা যায় এসএসসির। স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায় মামলাকারীরা ভুল উত্তর দিয়েছে। কিন্তু মামলাকারীদের বক্তব্য তাদের উত্তর সঠিক।
আরও পড়ুন- বেতন, সামাজিক সুরক্ষা নেই! ধর্নামঞ্চে অসুস্থ এক আন্দোলনকারী, সরকারকে হুঁশিয়ারি NSQF-এর
আসলে ইতিহাস বিষয়ে একটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েও স্কুল সার্ভিস কমিশন চাকরিপ্রার্থীদের অতিরিক্ত এক নম্বর দেয়নি বলে অভিযোগ। স্কুল সার্ভিস কমিশন হাইকোর্টের নির্দেশে ওএমআর শিট প্রকাশ করে। আবেদনকারীরা দেখতে পান যে তারা যে প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছিল তাতে স্কুল সার্ভিস কমিশন এক নম্বর তাদেরকে দেয়নি যে কারণে তারা চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার পরেও তাদের এই এক নম্বর না দেওয়ায় তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”পাজামা কেনার টাকা নেই কেষ্টর, নোংরা পাজামাতেই অনুব্রত! Anubrata’s difficult life in Tihar jail” width=”835″>
মঙ্গলবার মামলার শুনানি চলাকালীন আবেদনকারী প্রকাশ মণ্ডল, জিন্নাত শেখ এবং জিয়াতুল্লাহ ফেরদৌসের পক্ষে আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রশ্ন ছিল, ‘গান্ধী-আরউইন’ চুক্তি কখন সম্পাদিত হয়? এ,বি,সি,ডি চারটি উত্তর দেওয়া ছিল। মামলাকারীরা উত্তর দিয়েছিলেন গান্ধী আরউইন চুক্তি সম্পাদিত হয় মার্চ ১৯৩১ সালে। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায় মামলাকারীরা ভুল উত্তর দিয়েছে। এসএসসি জানায় সঠিক উত্তর হল মে ১৯৩১ সালে। স্কুল সার্ভিস কমিশন তারা কখনই মানতে চাননি যে মামলাকারীরা সঠিক উত্তর দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- কীভাবে দেশের উচ্চশিক্ষায় জাতপাতের দাপট? উচ্চ শিক্ষার প্রথম ধাপেই কীভাবে ব্রাত্য দলিত?
আইনজীবী আরও দাবি করেন, ওএমআর শিট প্রকাশ হওয়ার পরেই মামলাকারীরা জানতে পারেন তারা সঠিক উত্তরই দিয়েছিলেন। স্বপক্ষে আদালতে একাধিক বই তুলে ধরেন তিনি। তাঁর কথায়, এসএসসি এই উত্তরের জন্য যদি এক নম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগেই দিত তাহলে অনেকেই তারা বাড়ির কাছেই পছন্দমত স্কুলে তারা চাকরি পেতে পারতেন। এখন নেই নিয়োগের দাবিই করা হচ্ছে।