কলকাতা: যোগ্য হয়েও চাকরি খোয়াতে হয়েছে তাঁদের৷ অযোগ্যদের জন্য কেন এই শাস্তি পোহাতে হবে তাঁদের? সেই প্রশ্ন তুলেই শুক্রবার করুণাময়ীতে আন্দোলন শুরু করেন হাজার হাজার চাকরিহারা৷ এসএসসি ভবনের সামনে ধর্নায় বসেন তাঁরা৷ এই অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অযোগ্যদের সঙ্গে তাঁদের এক আসনে বসানো হল কেন? প্রশ্ন তুলে সোচ্চার আন্দোলনকারীরা৷ এসএসসি মামলার রায় ঘোষণার সময় আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল মুড়ি আর মিছরি আলাদা করা সম্ভব হয়নি৷ কারণ এসএসসি ঠিক মতো তথ্য দেয়নি৷ যার জেরই বাতিল করা হয় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল৷
এদিকে, এসএসসি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে৷ সেই মামলায় এসএসসি জানাল, চাকরিহারাদের মধ্যে কারা যোগ্য এবং কারা অযোগ্য, তা চিহ্নিত করা সম্ভব৷ হাই কোর্টের রায়ে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ার পরই যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ের দাবি উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টেরও প্রশ্ন ছিল, যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন সম্ভব কি? শুক্রবার এসএসসি-র তরফে জানানো হয়, তারা সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের পরিসংখ্যান দিতে পারবে। ঘটনাচক্রে, শুক্রবারই বাংলায় ভোট প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, যোগ্য চাকরিহারাদের চাকরি ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করবে বিজেপি।
এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার যোগ্য চাকরিহারাদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলার পর বলেন, “আমি তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছি যে, যাঁরা যোগ্য প্রার্থী, কমিশন তাদের পাশে অবশ্যই থাকবে। আমরা এর আগে অযোগ্যদের একটা তালিকা স্পেশাল বেঞ্চে দিয়েছিলাম। সেই ভাবেই বিতর্কিতদের তালিকা সুপ্রিম কোর্টেও তুলে ধরা হবে। যাঁরা বাকি থাকল, তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ নেই সে বলেও জানানো হবে৷ সুপ্রিম কোর্টের যা নির্দেশ, সেই মতো আমরা যা করার করব। ’’