কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস অনেকদিন ধরেই বলে আসছে যে তারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এবং যে সমস্ত কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে সেখানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু এতদিন ধরে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন সেই ভাবে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না আর অন্যদিকে বিজেপি ক্রমাগত নির্বাচন আটকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যের নির্বাচন কমিশন কর্তারা নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে এদিন তারা বৈঠক করেছেন এবং জানিয়েছেন যে উপনির্বাচন করতে হলে এখনই করা হোক কারণ তারা প্রস্তুত।
আরও পড়ুন- বাংলায় নির্বাচনের রণকৌশলই ভুল ছিল! মানতে ‘বাধ্য’ হল বিজেপি
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে রাজ্যের কর্তাদের যে বৈঠক হয়েছে তাতে মূলত বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি, দুর্গাপূজার ছুটি এবং বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। যদিও রাজ্যের কর্তারা দাবি করেছেন যে এই মুহূর্তে রাজ্যের পরিস্থিতি নির্বাচনের জন্য অনুকূল এবং তারা নির্বাচন করতে প্রস্তুত। সেই প্রেক্ষিতে তারা যত শীঘ্রই সম্ভব নির্বাচন চাইছেন কারণ পরের মাসে কমপক্ষে ২২-২৪ দিন ছুটি থাকবে উৎসবের জন্য। তবে এসবের পরেও আরো বেশ কয়েকটি প্রসঙ্গ উঠে এসেছে এই বৈঠকে বলে জানা গিয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে ভোটের কাজে যারা যুক্ত তাদের সকলের ভ্যাক্সিনেশন হয়েছে কিনা, একই সঙ্গে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। বলাই বাহুল্য যে এই বিষয় নিয়ে প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি যে সমস্ত কেন্দ্রে উপনির্বাচন সংঘটিত হবে সেই সমস্ত কেন্দ্রের বিস্তারিত রিপোর্ট যাচাই করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। দাবি করা হয়েছে যে এই সমস্ত এলাকায় করোনা সংক্রমণ একেবারে ন্যূনতম বা নেই বললেই চলে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বাংলার উপনির্বাচন আটকাতে বেশ কয়েকটি প্রসঙ্গ সামনে এনেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির এবং দাবি করা হয়েছিল যে এই সমস্ত কারণের জন্যই এই মুহূর্তে বাংলায় নির্বাচন সম্ভব নয়। জানা গিয়েছে, যে যে কারণের কথা উল্লেখ করে রাজ্য বিজেপি চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় গেরুয়া নেতৃত্বকে, এই কারণের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি চলছে এবং লোকাল ট্রেন বন্ধ। ওদিকে, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা রয়েছে, আবার সেই মাসেই পুজো। তাই কোনও ভাবেই এই সময়ে উপনির্বাচন করা সম্ভব নয়। এছাড়াও বিজেপি জানিয়েছে, রাজ্যে কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ এখনো লাগু করে রাখা রয়েছে। পুরসভা নির্বাচন হয়নি এখনও পর্যন্ত। তার কারণ হিসেবে রাজ্য সরকার করোনা পরিস্থিতির কথাই বলেছে।