দিঘা: ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ নিয়ে একটা ব্যাপক ভয় ছিল। কিন্তু আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার বঙ্গের কোনও জেলায় সেই রকম বৃষ্টি হল না। তবে বাংলাদেশের দিকে ঘূর্ণিঝড় চলে যাবে সেই আভাস মিলে গিয়েছে। এরপরেই রোদ ঝলমলে দিঘায় বেড়েছে পর্যটকদের ভিড়। যদিও সমুদ্র কিন্তু উত্তাল, তাই সকলকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ব্রিটিশরা শাসন করেছিল ভারত, এবার ব্রিটেনের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় এক ভারতীয় বংশোদ্ভুত
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সেই ভাবে না পড়লেও সমুদ্র কিন্তু যথেষ্ট তাণ্ডব করেছে সকাল থেকে। তাই দিঘা আলাদাভাবেই নিরাপত্তা গ্রহণ করছে। ভোরের দিকে বেশ কিছু অতি উৎসাহী পর্যটক সমুদ্র সৈকতে নামার চেষ্টা করলেও পুলিশ এবং নুলিয়ার তৎপরতায় তাদেরকে তুলে দেওয়া হয়। তবে আকাশ পরিষ্কার থাকায় পরে আর কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বিভিন্ন ঘাট গুলিতে দড়ি বেঁধে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের সমুদ্র স্নানের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে সিত্রাংয়ের প্রভাবে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে পড়শি দেশ বাংলাদেশে। সিত্রাং-এর তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে৷ সোমবার সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা৷ বৃষ্টি শুরু হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়৷ সন্ধ্যার পর থেকে ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডব আরও তীব্র হয়েছে৷ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ সোমবার সন্ধ্যায় এবং মূল কেন্দ্রটি রাতের দিকে উপকূলে আঘাত করে। সিত্রাং-এর কেন্দ্রটি ভোলার উপর দিয়ে গিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে কুমিল্লায় ৩ জন, ভোলায় ২ জন, নড়াইলে ১ জন, বরগুনায় ১ জন এবং সিরাজগঞ্জে প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন।