কলকাতা: মালদহের এক হাইস্কুলের শৌচাগারের দেওয়াল ভেঙে এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে এমন খবর এসেছিল বৃহস্পতিবার। আজ, শুক্রবার একই ঘটনা ঘটল। তবে এবার মালদহ নয়, পুরুলিয়ায়। সেই জেলাতেও এক প্রাথমিক বিদ্যালয়েরশৌচাগারের পাঁচিল ভেঙে চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছে এক ছাত্র বলে জানা গিয়েছে। পরপর দু’দিন একই রকম ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে। প্রশাসন এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকদের মধ্যেও ব্যাপক বাড়ছে ক্ষোভ।
আরও পড়ুন- চাকরিপ্রার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসার অনুমতি হাইকোর্টের, আছে শর্ত
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন স্কুল চলার সময় এক ছাত্রের ওপর ধসে পড়ে একটি দেওয়াল। তাকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কোনও লাভ হয়নি। ওই ছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, শৌচালয় এবং তার গেটের দেওয়াল ভেঙে গিয়েছে। ভাঙা দেওয়াল দেখেই অনুমান করা সম্ভব যে কী কাঁচামাল দিয়ে তা তৈরি হয়েছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আপাতত ভীষণ উত্তেজনা। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার একই রকম ঘটনায় মালদহে। শৌচাগারের দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু হয় একাদশ শ্রেণির ছাত্রের এবং গুরুতর জখম হয় আরও এক ছাত্র। স্কুলে টিফিনের সময় শৌচাগারে যায় সে। তখনই শৌচাগারের ছাদের একটা অংশ এবং পাঁচিল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই ছাত্রের ওপর। দীর্ঘদিন ধরে নাকি স্কুলের শৌচাগারের বেহাল দশা৷ কেন তা মেরামত করা হয়নি? প্রশ্ন তুলেছেন মৃত ও আহতদের পরিবার৷