পাপ বাপকেও ছাড়ে না, মানুষের চোখের জলই তৃণমূলকে ডুবিয়ে মারবে: সুকান্ত

পাপ বাপকেও ছাড়ে না, মানুষের চোখের জলই তৃণমূলকে ডুবিয়ে মারবে: সুকান্ত

 

ভগবানপুর: এবার পূর্ব মেদিনীপুরের মাটি থেকে পুলিশ এবং তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ বললেন, ‘‘গণতন্ত্রে একটি দল জিতবে, একটি দল হারবে৷ বিরোধীদল তার ভূমিকা পালন করবে এটাই স্বাভাবিক। যদি মমতা বন্দোপাধ্যায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের কাছ থেকে ভারতমাতা জয় অধিকার কেড়ে নেবে বলে ভেবে তাহলে জেনে রাখুন আমরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়ব৷ ভোটের ফল গণনার পর থেকে সারা রাজ্যে প্রচুর গণ্ডগোল হচ্ছে। কথায় আছে, পাপ বাপকেও ছাড়ে না৷ মানুষের এই  চোখের জলই তৃণমূলকে ডুবিয়ে মারবে৷’’

একই সঙ্গে হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, ‘‘ পুলিশ যদি ছেড়েও দেয়, সিবিআই তদন্ত করে এদের জেলে পাঠানোর দায়িত্ব আমাদের। নন্দীগ্রামে এখনও পর্যন্ত ১১ জন গ্রেফতার হয়ে গিয়েছে। খেলা কবে শুরু হয়েছে, খেলা অনেক বাকি রয়েছে৷ পুলিশ আর গুণ্ডা যদি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস খোলার লোক থাকবে না৷’’ ভাইফোঁটার রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় ভগবানপুরের মহম্মদপুরের বিজেপি কর্মী চন্দন মাইতিকে৷ এদিন সেখানে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়৷ ওই স্মরণসভায়  নিহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী লক্ষ্মীরানি মাইতির হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কার্যত পুলিশ প্রশাসনের এক হাতে নেন। ‘‘নিচুতলা পুলিশ কর্মীরা যথেষ্ট ভাল। তারা নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু উঁচুতলার পুলিশ অফিসাররা দিদিমণি ও ভাইপোকে খুশি করতে অনেক দুর্নীতি কাজকর্ম করে বেড়ান।’’ জানিয়ে সুকান্তের হুঙ্কার, ‘ ‘জেনে রাখবেন, সবার সব সময় ভাল যায় না। তখন কিন্তু আমরাও কাউকে ছেড়ে কথা বলবো না। যদি নিরপেক্ষ হন তাহলে আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকব। পুলিশ প্রশাসনের মেরুদণ্ড সম্পূর্ণভাবে রাজ্য ভেঙে পড়েছে। পুলিশ প্রশাসন ও গুণ্ডাকে নিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না।’’

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চন্দন মাইতি খুনের প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুরদার বলেন ” বিজেপি কর্মী চন্দন মাইতি খুনের ঘটনার ৩৬ জনের বিরুদ্ধে  মামলা হয়েছে। তারা প্রত্যেকে গাঁজা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। গাঁজা ব্যবসা থেকেও পুলিশ লাভবান হয় ও টাকা পায়। সেই জন্য আমরা সিবিআই ও মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি লিখব। এই মামলার তদন্তের জন্য সিবিআইকেই চায়৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × five =

‘বাংলায় গণতন্ত্র ধর্ষিত হচ্ছে, এখানে সব উন্নয়ন থমকে যায়’, বিস্ফোরক সুকান্ত

‘বাংলায় গণতন্ত্র ধর্ষিত হচ্ছে, এখানে সব উন্নয়ন থমকে যায়’, বিস্ফোরক সুকান্ত

খড়দহ: ‘‘পশ্চিমবঙ্গ স্পিড বেকার রাজ্য৷ সব উন্নয়ন এখানে এসে থেমে যায়৷ প্রধানমন্ত্রী আগেই সেকথা বলেছিলেন৷ আসলে ওরা আটকাবে৷ সব কিছুতেই আটকাবে৷ কারণ, এখানে প্রতি মিনিটে গণতন্ত্র ধর্ষিত হচ্ছে৷ আমরা বাংলার মানুষকে বলব, আপনারা দেখুন এরা কি করছে৷’’ সোমবার সন্ধ্যায় খড়দহে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসে এভাবেই তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷

উপ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে খড়দহে প্রচারে গিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ফের বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ পরে কর্মী সভা করেন৷ সেখানেই বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি৷ এদিনই উত্তরকন্যা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে রাজ্যে চালু হবে স্কুল-কলেজ৷ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি এবং কলেজ৷ বাকি ক্লাসও চালু হবে ধাপে ধাপে৷

এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘দুর্গা পুজোর পর থেকে যেভাবে করোনা বাড়ছে৷ ফলে এত তাড়াতাড়ি স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল, সেটা বিশেষজ্ঞরা বলবেন৷ ঘোষণা করার আগে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত নেওয়া প্রয়োজন ছিল৷ সেটা উনি করেছেন কি না জানা নেই৷ তবে এত তাড়াহুড়ো না করলেই ভাল হত৷’’ একই সঙ্গে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেশ সামলানোর অভিজ্ঞতার দাবিকে৷

সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকই বলেছেন৷ ওনার অভিজ্ঞতা আছে, পাঁচ হাজার কোটি টাকার লোন কীভাবে সরকারের ঘাড়ে চাপাতে হয়। প্রতি বছর হওয়া এসএসসি বন্ধ করে দিয়ে ১০ বছরে মাত্র দু’বার করার অভিজ্ঞতা ওনার আছে৷ প্রতিটি চাকরিতে কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের টাকা দিয়ে চাকরি পেতে হয় এবং কিভাবে উপযুক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন হবু শিক্ষকদের অনশন করে মরতে হয়, উনি সেই অভিজ্ঞতা বাংলায় তৈরি করে দিয়েছেন৷ তবে ওঁনার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে কি না, আমার জানা নেই৷’’ দাবি করেছেন, ‘‘খড়দহের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন৷ চাপা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছে৷ তবে অবাধ ভোট হলে বিজেপির জয় কেউ রুখতে পারবে না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × five =