‘ব্র্যান্ড’ দিলীপের ব্যাপক প্রশংসা, বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতেও মুখ খুললেন সুকান্ত

‘ব্র্যান্ড’ দিলীপের ব্যাপক প্রশংসা, বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতেও মুখ খুললেন সুকান্ত

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বিজেপি নেতারা যেন আরও বিতর্কিত ইস্যুর জন্ম দিয়েছেন, তা হল বঙ্গভঙ্গ। উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যে হিসেবে দেখতে চান অনেক বিজেপি মন্ত্রী এবং সাংসদ। সেই ব্যাপারে প্রথম দিলীপ ঘোষ অন্য বক্তব্য রাখলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে যেন সুরে সুর মিলিয়েছিলেন। সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একটি ‘বিরোধ’ হয়েছিল বলা যায়। কিন্তু সেই বিতর্কের আঁচ কমেনি। এদিন আবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের নয়া বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন। 

আরও পড়ুন- চিটফান্ড মামলায় হাই কোর্টে হাজিরা রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের

এই ইস্যুতে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ”আমি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি। আর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি হয়েই থাকতে চাই। যখনই উত্তরবঙ্গ বলা হবে তখনই মনে হবে উত্তরবঙ্গকে আলাদাভাবে দেখতে চাওয়া হচ্ছে। তবে ভারতীয় জনতা পার্টি সেটা কখনই চায়নি।” অর্থাৎ তিনি মোটামুটি বুঝিয়েই দিলেন যে, বঙ্গভঙ্গ তিনি বা বিজেপি শিবির চাইছে না। অবশ্যই এই বক্তব্য রেখে তিনি ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতে চাইলেন বলেই ব্যাখ্যা করা যায়। এদিকে, আবার দিলীপ ঘোষের ভূয়সী প্রশংসা করে সুকান্ত বলেন, ব্র্যান্ড দিলীপ ঘোষ, দিলীপ ঘোষকেই মানায়। দিলীপ ঘোষ পশ্চিমবঙ্গের সফলতম রাজ্য সভাপতি। বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে তিনি যে জায়গা থেকে পেয়েছিলেন, সেই জায়গা থেকে আজ এখানে নিয়ে এসেছেন। তাই ভারতীয় জনতা পার্টিতে দিলীপ ঘোষের অবদান বাংলায় শুধু নয় সর্বভারতীয় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। শুধু তাই নয়, দিলীপ ঘোষ কী বলবেন তা শোনার জন্য অন্যান্য প্রদেশের মন্ত্রীরা টিভির সামনে বসে থাকেন।

আরও পড়ুন- বৃষ্টির জল ভেঙে ছুটছে ট্রেন, বিপর্যস্ত পরিষেবা! জমা জলে ছাত্রের মৃত্যু

এদিন নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে সংবর্ধনা দেয় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদ্য-প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য সহ আরো অনেকে। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, যারা চলে যাচ্ছেন তারা দলে থেকে গেলে ভালই হতো, তিনি চান রাতে সবাই একসঙ্গে লড়াই করুক। এক সঙ্গে লড়াই করে রাজ্যের উন্নয়ন করতে চান তিনি। কিন্তু যারা রাজ্যপাটের লোভে, সামান্য ভয়ে বিজেপির নীতি-আদর্শ ভুলে চলে যাচ্ছেন তাদের চলে যাওয়াই ভালো। তারা চলে যেতেই পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × one =