কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রমোটার অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর অন্য একজনকে নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। তিনি হলেন অয়নের ‘বান্ধবী’ শ্বেতা চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ সময়ের সম্পর্ক তাদের। এবার সেই শ্বেতা বাংলার এক প্রথম শ্রেণির সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন। তিনি স্পষ্টত জানান যে, অয়ন শীলকে তিনি চেনেন। তবে বাকি যে কথা উঠে আসছে তাদের পরিচিতি নিয়ে সেগুলি কতটা ঠিক, তাও জানালেন শ্বেতা।
আরও পড়ুন- ‘ঘি নিয়ে ঘেউ ঘেউ’, কাদের বিঁধলেন তৃণমূল বিধায়ক?
এদিন সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে প্রথমেই শ্বেতা জানান, তিনি অয়ন শীলের থেকে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন যদিও সেই ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রি হয়নি। তিনি পরবর্তী ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট নেননি। তাই অয়ন তাঁকে টাকাও ফেরত দিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর তাঁর গাড়ির কাগজপত্র অয়নের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়ার ইস্যুতে শ্বেতা জানান, অয়নের প্রযোজনায় ‘কবাডি কবাডি’ সিনেমায় তিনি কাজ করেছিলেন। তার পারিশ্রমিক বাকি ছিল, সেই প্রেক্ষিতে অয়ন তাঁকে ওই গাড়ি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। তবে অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢোকার ব্যাপার নিয়েও এদিন খোলসা করেন শ্বেতা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”অয়ন মানেই কি প্রতারণা? টাকা তুললেও হত না চাকরি! Know about arrested promoter Ayan Sil” width=”560″>
মহিলা জানান, যে ফ্ল্যাট তিনি কেনার জন্য অয়নকে টাকা দিয়েছিলেন তা পরবর্তী সময়ে না কেনার জন্য ওই টাকাই ধাপে ধাপে অয়ন তাঁকে ফেরত দেন। ১০ লক্ষ টাকা করে তিনবার, ২০ লক্ষ টাকা একবার এবং পরে ৫ লক্ষ টাকা অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতার অ্যাকাউন্টে ঢোকে। প্রয়োজনে ব্যাঙ্কের নথি তিনি দেখাতে রাজি বলেও জানিয়েছেন শ্বেতা। পাশাপাশি অয়নের সঙ্গে মামা-ভাগ্নী পরিচয়ে একটি ফ্ল্যাটে থাকার বিষয় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন শ্বেতা।