কলকাতা: তৃণমূল নেতাদের হুমকি আসছে, স্কুলে ঢুকলেই গ্রেফতার করা হবে বলে বলছে খোদ পুলিশ! এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক শিক্ষক। আজ এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে উপরোক্ত বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্য তলব করেছিলেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে বা পরিচালন কমিটির তরফে কেউই আদালতে উপস্থিত হননি।
বীরভূমের তেতুল বেরিয়া জুনিয়র হাই স্কুলে ২০১২ সালে ইতিহাস শিক্ষক হয়ে ঢোকেন এই ব্যক্তি, সৌমেন্দ্রনাথ মিয়া। পরে ২০১৬ সালে টিচার ইনচার্জ হিসাবে নিয়োগ পান ওই স্কুলেই। কিন্তু সেই বছর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পরিচালন কমিটির সঙ্গে তাঁর মতানৈক্য হওয়া শুরু হয়। অভিযোগ স্কুলের পরিচালন কমিটির কয়েকজন সদস্য মিলে স্কুলের খেলার মাঠে অবৈধভাবে নির্মাণ শুরু করে। তখন সৌমেন্দ্রনাথ বেআইনি নির্মাণকাজে বাধা দেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনে স্থানীয় থানায় রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে বলে হুমকি আসতে থাকে বলে দাবি।
এখানেই শেষ নয়, ওই শিক্ষক এটাও দাবি করেছেন যে, এই ইস্যুতে পুলিশ তো কোনও পদক্ষেপ নেয়ইনি, উলটে তারা তাঁকে শাসানি দেয় যে স্কুলে ঢুকলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরকেও এই বিষয়ে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। অবশেষে সমস্যার সুরাহা পেতে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালতে তিনি এও জানান, তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয় অবিলম্বে পদত্যাগ করার জন্য, তবে পদত্যাগ পত্র পাঠালে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও উত্তর দেয়নি। তাই ফের তিনি পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করে নেন এবং শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন করেন তাঁকে যেন স্কুলে যোগদান করানো হয়। স্কুল শিক্ষা দফতর ডিআইকে এই বিষয়টি দেখতে বলে।
এদিকে মামলাকারির পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছু না জানিয়ে বেতন বন্ধ করে দিতে পারে না । আজ পর্যন্ত তাকে শোকজ, সাসপেনশন কোন কিছুই স্কুলের পক্ষ থেকে করা হয়নি। সব শুনে বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ১০ মেয়ে মামলার পরবর্তী শুনানিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ হাজির না থাককে আদালত বাধ্য হবে বীরভূমের এসপিকে কড়া নির্দেশ দিতে।