বদলির আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে! প্রশ্ন তুলে শিক্ষা দফতরে একাধিক দাবি

বদলির আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে! প্রশ্ন তুলে শিক্ষা দফতরে একাধিক দাবি

কলকাতা: ‘এনওসি’ পাওয়া সিঙ্গেল পোস্টের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের বদলির আবেদন প্রত্যাখ্যান করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এর ফলে বহু শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী বদলির সুযোগ পাবেন না! জানা যাচ্ছে, যেসব বিদ্যালয়ে কোন বিষয়ে একমাত্র শিক্ষক, শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী, গ্রন্থাগারিক রয়েছেন তাঁদের বদলির আবেদন এনওসি সহ বিদ্যালয় থেকে ডি আই-এর মাধ্যমে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে পৌঁছানোর পর সেগুলি পুনরায় ব্যাক করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ হিসাবে দেখানো হচ্ছে বিষয় কেন্দ্রিক একমাত্র শিক্ষককে বদলির রেকমেন্ডেশন লেটার ইস্যু করা যাবে না এই অজুহাতে। একই ভাবে প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে PRT-র কারণে বদলির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। যেমন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যদি ১৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী থাকেন এবং সেখানে যদি ৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকেন তাহলে তাঁরা কোনদিন বদলির সুযোগ পাবেন না। এ বিষয় নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। 

আরও পড়ুন- তালিবানি শাসন, দেশের আকাশ দেখা হল না আফগান শিশুর

তাঁদের বক্তব্য, এইসব পদের শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীগণ কোনদিন বদলির সুযোগ পাবেন কি? কারণ বিদ্যালয়ের বহু পোস্ট সিঙ্গেল পোস্ট। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও উল্লেখিত পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে কেউ কোনদিন বদলির সুযোগ পাবেন না! তাহলে কি এঁদের জন্য বদলির কোন সুযোগ নেই? কীভাবে সমাধান হবে এই সমস্যার? দ্বিতীয়ত, ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থের কথা ভাবতেই হবে। যেহেতু উৎসশ্রী পোর্টালে এই বদলি প্রক্রিয়াটি কন্টিনিউ হবে তার ফলে যে বিদ্যালয় থেকে শিক্ষক শিক্ষাকর্মীগণ অন্য বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হচ্ছেন সেইসব নতুন ভ্যাকেন্সি পোস্ট গুলোতে পুনরায় কেউ না কেউ একই প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেন। তাহলে তাঁদের এই বদলি প্রক্রিয়ায় সুযোগ দিতে অসুবিধা কোথায়? প্রশ্ন তাঁদের। 

শুধু এখানেই শেষ নয়। তাঁদের আরও প্রশ্ন, সামগ্রিকভাবে ভ্যাকেন্সি কোথাও না কোথাও রয়েছে। পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত কার্যকরী করার মধ্য দিয়ে সেগুলি পূরণ করলে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে কেন? এই ভ্যাকেন্সি তো রাজ্যের কোনো-না-কোনো বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্য দিয়ে সামগ্রিকভাবে কোন না কোন জায়গার ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যালয়গুলিতে পঠন-পাঠন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে বদলি প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের সুযোগ দেওয়ার পর দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে কোনভাবেই এটি বড় সমস্যা হতে পারে না। তাছাড়া বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি এনওসি দেওয়ার পর ডিআই ভেরিফিকেশন করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে সুপারিশ করার পর স্কুল সার্ভিস কমিশন কেন সেই প্রার্থীর আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন? এও প্রশ্ন তাঁদের। এই প্রেক্ষিতেও তাঁরা শিক্ষা দপ্তরের কাছে দাবি জানাচ্ছেন যে, যেসব বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি এনওসি প্রদান করেছেন তাঁদের ক্ষেত্রে সিঙ্গেল পোস্টে থাকা শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের বদলির আবেদন প্রত্যাখ্যান না করে স্কুল সার্ভিস কমিশন রেকমেন্ডেশন লেটার ইস্যু করুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × three =