নতুন শিক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানাল শিক্ষক সংগঠন, প্রত্যাশা অনেক

নতুন শিক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানাল শিক্ষক সংগঠন, প্রত্যাশা অনেক

কলকাতা: তৃতীয় বারের সরকার গঠন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভায় বেশ কিছু রদ বদল এনেছেন। সবচেয়ে বড় বদল ঘটেছে শিক্ষা দফতরে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় শিক্ষা মন্ত্রী হয়েছেন ব্রাত্য বসু। তাঁকেই এবার খোলা চিঠি দিল মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। তাঁকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি তাঁর কাছ থেকে যে তারা অনেক কিছু আশা করেন সেটাও জানানো হল। 

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ”মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (STEA)র পক্ষ থেকে আমরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী সম্মানীয় অধ্যাপক ব্রাত্য বসু মহাশয় কে স্বাগত ও হার্দিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা ভুলতে পারি না যে আপনি  দশ বৎসর পূর্বে প্রথম মন্ত্রিসভায় কিছুদিনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন, আপনার সাথে আমরা বহু বার নানান বিষয়ে আলোচনা করে সমাধান করতে পেরেছি। অতীতের সেই স্মৃতি আমাদের ভোলার নয়। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনি পুনরায় শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। আমরা আশা করি শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত সকল রকমের শিক্ষক শিক্ষা কর্মী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা রয়ে গেছে সেই সমস্যাগুলি নিরসনে আপনি সচেষ্ট হবেন এবং সমস্ত শিক্ষক সংগঠন গুলির সাথে সমন্বয় রক্ষা করে সেই সমস্যাগুলো সমাধান করবেন।” একইসঙ্গে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্রাত্য বসুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে তারা। 

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলছেন, ”বর্তমানে আমরা এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছি। করোনা ভাইরাসের আক্রমণে সমস্ত সমাজ বিপর্যস্ত। আমরা মনে করি এই গভীর এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের জয় লাভ করতে হলে সমস্ত শ্রেণীর মানুষকে নিয়েই এগিয়ে আসতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার যেভাবে চেষ্টা করছেন আমরা শিক্ষকরা এমনকি শিক্ষার্থীরাও সেই পাশে পাশে থাকতে চাইছি। আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি  যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কোভিড সমস্যার সমাধান করতে রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয় গুলিকে সেফ হোম ও অক্সিজেন পার্লারের জন্য ব্যবহার করা হোক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবক করে কোভিড আক্রান্ত পরিবারগুলোর কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়া হোক। একইসঙ্গে আশা করা হচ্ছে, তিনি প্রথম থেকেই এস এস সি’র মাধ্যমে স্বচ্ছ ও নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন। যার ফলে একদিকে শিক্ষিত বেকারদের সমস্যা নিরসন ও অন্যদিকে বিদ্যালয়গুলিতে প্রচুর শূন্যপদ পূরণ করবেন। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে পেশাগত সমস্যাগুলো দূরীকরণে অবিলম্বে “অনলাইনে আবেদনের ভিত্তিতে বদলি” চালু, TGT স্কেল প্রদান, পার্শ্ব শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 1 =