চেরা কাঠের পুজো মণ্ডপের সঙ্গে মৃত্তিকায় মাতৃ মূর্তির অপরূপ মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন ওরা

চেরা কাঠের পুজো মণ্ডপের সঙ্গে মৃত্তিকায় মাতৃ মূর্তির অপরূপ মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন ওরা

 

কলকাতা: বোধনে শুরু বিসর্জনে শেষ, আমাদের আবাহনের রয়ে যাবে রেশ৷ হ্যাঁ, এই ট্যাগ লাইনকে সামনে রেখেই চেরা কাঠের পুজো মণ্ডপ ও অনিন্দ্যসুন্দর মৃত্তিকায় মাতৃ মূর্তির অপরূপ মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন ওরা৷ ওরা মানে নিউটাউনের ইউনিওয়ার্ল্ড সিটি আবাসনের দুর্গা পুজোর উদ্যোক্তারা৷

১২ তম বর্ষের শারদীয়ার মুখ্য আকর্ষণ চেরা কাঠের পুজো মণ্ডপ ও অনিন্দ্যসুন্দর মৃত্তিকায় মাতৃ মূর্তির অপরূপ মেলবন্ধন। এবার তাদের থিম “বোধনে শুরু বিসর্জনে শেষ, আমাদের আবাহনের রয়ে যাবে রেশ”। এমন উদ্যোগ কেন? উদ্যোক্তারা বলছেন, আমরা সারা বছর ধরে গাছকে প্রচুর পরিচর্চা করি। একটি গাছ সে যেমন বায়ু দিচ্ছে তেমনই ছায়া, ফল, ফুল দিচ্ছে। সেই গাছটা যখন মরে যায় সেই গাছটা কিন্তু বিলীন হয়ে যায় না৷ তার আত্মা থেকেই যাচ্ছে। সেই গাছ তখন হয়ে যাচ্ছে শিল্পীর শিল্প কর্মের একটা আধার। সেই গাছের মধ্যে রচিত হয়ে যাচ্ছে জীবন শক্তির মন্ত্র।

সেই জীবন শক্তির মন্ত্র এই কাঠের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই ভাবে পুরো মণ্ডপ সাজানো হয়েছে। মূর্তি তৈরি করেছে শিল্পী প্রদীপ রুদ্র পাল ও মণ্ডপ সজ্জা করেছেন শ্রীরামপুরের প্রদীপ ঘোষ। মণ্ডপের সাজসজ্জার আঙ্গিকে তৈরি হয়েছে দেবী মূর্তি। চেরা কাঠ দিয়ে এই মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। ঝাড়বাতির মধ্যেও সবুজের প্রাচুর্য ব্যবহার করা হয়েছে। ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে জীবন শক্তির প্রদর্শন৷ বারো বছরে পা রাখা এই মণ্ডপে করোনা আবহের জন্য সোশ্যাল ডিস্টেন্স মেন্টেন করার জন্য ডিস্টেন্স দাগ কাটা হয়েছে। মণ্ডপের মধ্যে ঢুকলেই টাকা এবং হাত স্যানিটাইজার করা হবে। নিউটাউন ইউনিওয়ালর্ড সিটিতে প্রায় ৬ হাজার আবাসিক রয়েছেন। করোনা আবহের জন্য বাইরের কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেউ যদি আসতে না চায় তারা লাইভ স্ট্রিম এর মাধ্যমে দেখতে পাবে। গ্রামের যারা কুটির শিল্পী তাদের জন্য একটা প্যাভিলিয়ন তৈরি করা হয়েছে। তারা এখানে তাদের তৈরি করা জিনিস বিক্রি করতে পারবে।তাদের থাকা খাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − four =