আলমারি যে ফাঁকা! অগাত্য চা বানিয়ে খেল হতাশ চোরেরা, সঙ্গে নিয়ে গেল কেটলি

আলমারি যে ফাঁকা! অগাত্য চা বানিয়ে খেল হতাশ চোরেরা, সঙ্গে নিয়ে গেল কেটলি

বাঁকুড়া:  গৃহস্থ বাড়িতে সিঁধ কেটে ধরা পড়লে বিস্তর ঝঞ্ঝাট। তার চেয়ে ভালো সরকারি অফিসে হানা দেওয়া। সেই মতোই সপ্তাহান্তে সরকারি দফতরে চুরি করতে ঢুকেছিল চোরের দল। কাগজপত্র সরিয়ে যখন তারা আলমারি খুলল, তখন তাদের চক্ষু চড়কগাছ৷ আলমারি যে ফাঁকা৷ বদলে সেখানে পড়ে রয়েছে চা করার সরঞ্জাম৷ কিছু না পেয়ে অগত্যা চা বিনিয়েই খেল চোরেরা৷ চাইলে সঙ্গে করে কম্পিউটার নিয়ে যেতে পারত তারা৷ সেটা অবশ্য করেনি৷ তবে শূন্য হাতে কি আর ফেরা যায়? তাই সঙ্গে করে নিয়ে গেল ইলেকট্রিক কেটলি৷ বাঁকুড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের এই ঘটনায় অনেকেই হতবাক। এ আবার কেমন চোর! ভেবে পাচ্ছেন না অনেকেই৷ 

আরও পড়ুন- দুর্নীতি মুক্ত স্থায়ী নিয়োগের দাবি, যৌথ মিছিলের ডাক শিক্ষক ও সরকারী কর্মচারীদের একাধিক সংগঠনের

আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরটি বাঁকুড়ার শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। শনি এবং রবিবার সরকারি অফিসে ছুটি থাকে। সোমবার সকালে নির্দিষ্ট সময়ে দফতরে আসেন কর্মীরা। এসে দেখেন, দরজার তালা ভাঙা। আলমারিগুলি সব খোলা। টেবিলের উপর কাগজ-পত্র ফাইল সব লণ্ডভণ্ড। এখানে ওখানে মেঢের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে কাগজপত্র।  এই কাণ্ড যে চোরবাবাজির, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি তাঁদের৷  দফতরের কর্মীরা জানান, কলম্পিউটার বা ফাইল সব ঠিকই আছে৷ তবে উধাও হয়ে গিয়েছে ইলেকট্রিক কেটলি৷  চা খাওয়ার সরঞ্জামও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। চা ও চিনির পরিমাণ  অনেকটাই কমে গিয়েছে। দু’টি কৌটোর ঢাকনা খোলা। 

দফতরের আধিকারিকদের কথায়, মনে হচ্ছে অফিসের আলমারিতে টাকা পয়সা পাবে ভেবেই হানা দিয়েছিল চোরেরা৷ কিন্তু সে সব কিছু না মেলায় তারা হতাশ হয়ে পড়ে। কিছু না পেয়ে অফিসের ঘরে বসেই চা তৈরি করে খায়। শেষমেশ ইলেকট্রিক কেটলিটি নিয়ে পালায়৷ চোরেদের এহেন ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ডে অনেকেই অবাক। অনেকে আবার হেসে খুন৷