কলকাতা: ছাত্র সংসদ ভোটের দাবিতে সোমবার রাত থেকেই ঘেরাও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। কলেজের অধ্যক্ষ এবং বিভাগীয় প্রধানদের আটক করে রেখেছিলেন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। পাল্টা বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন হাসপাতালের নার্সরাও। এদিন সকাল থেকে উত্তাপ আরও বাড়ে মেডিক্যাল কলেজে। অবশেষে নার্সিং সুপার-সহ ৩ জন শিক্ষিকাকে মুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে আন্দোলন যে এখনও চলবে তা স্পষ্ট করা হয়েছে। পড়ুয়াদের বক্তব্য, যতক্ষণ তাঁদের দাবি মানা হবে না, ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
আরও পড়ুন: ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভ, উত্তাল মেডিক্যাল, হাইকোর্টে গেলেন রোগীর আত্মীয়
ডাক্তারি পড়ুয়াদের বক্তব্য, ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল। সোমবার হঠাৎই নির্বাচন স্থগিত বলে ঘোষণা করা হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বাইরের রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটাতেই বারবার করে ছাত্র সংসদের নির্বাচন স্থগিত করা হচ্ছে। ভোট না হলে ঘেরাও আন্দোলন তোলা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু এখন কয়েক জনকে মুক্তি দিলেও আন্দোলন যে চলবেই তা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাত থেকে হাসপাতালের প্রশাসন ব্লকে আটক ছিলেন ২৭ জন। প্রায় ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পর নার্সিং সুপার-সহ ৩ শিক্ষিকাকে মুক্ত করেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা।
এদিকে মেডিক্যাল কলেজের মতো হাসপাতালে আন্দোলনের জেরে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে মামলা দায়ের করা হল। রোগীদের পুলিশি নিরাপত্তার দাবি তুলে এক রোগীর আত্মীয় কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু এক ছাত্র প্রতিনিধি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, তাঁদের এই বিক্ষোভের ফলে হাসপাতালে পরিষেবার কোনও ব্যাঘাত ঘটছে না। হাসপাতালের সমস্ত বিভাগে কাজ অব্যাহত।