কলকাতা: ৭ মার্চ বিধানসভায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ভাষণের ঠিক আগে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেত্রিত্বে এই বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয় যার জেরে প্রথমে ভাষণ শুরুই করতে পারেননি রাজ্যপাল। অনেক টানাপোড়েনের পর ভাষণের প্রথম এবং শেষ লাইন পড়েই বেরিয়ে যান তিনি। এই ঘটনায় বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখন সেই ঘটনার জেরেই বিধানসভায় ‘কোপে’ পড়লেন দুই বিজেপি বিধায়ক।
আরও পড়ুন- বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে গোপন স্থানে বৈঠকে লকেট, পাল্টাচ্ছে রাজ্য BJP-র সমীকরণ?
রাজ্যপালের ভাষণ শুরুর ঠিক আগে বিধানসভায় বিক্ষোভে সামিল দুই বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দু’জন হলেন সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও মিহির গোস্বামী। চলতি বাজেট অধিবেশনের জন্যই সাসপেন্ড করা হয়েছে তাদের। এই সিদ্ধান্তের পরেই বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে বৈঠকে বসেন অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে তা সেখান থেকেই ঠিক করা হবে। সেদিন বিধানসভায় যে হইচই করা হয়েছিল তার জেরে ভাষণ অসম্পূর্ণ থেকে যায় রাজ্যপালের। রাজ্যপাল অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করতেই প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা৷ শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে তাঁরা ওয়েলে নেমে চরম হইচই শুরু করেন৷ ‘‘ভারত মাতা কী জয়, ছাপ্পা ভোটের সরকার আর নেই দরকার, মানুষ মারা সরকার আর নেই দরকার,’’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা৷
এই ইস্যুতে মুখ খুলে মমতা বলেন, বিজেপি নাটক করেছে। যা করেছে তা লজ্জা। বিধানসভায় আগে কখনও হয়নি। নজিরবিহীন অসভ্যতা। নিজের ওয়ার্ডে হারে তাও লজ্জা নেই। তিনি বলেছেন, সাংবিধানিক মর্যাদা রক্ষা করতে রাজ্যপাল ভাষণ দেন। কিন্তু সেটা তিনি দিতে পারছিলেন না বিজেপির জন্য। বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের ছেলেরা এবং মেয়েরা তাঁকে অনুরোধ করেন ভাষণ দেওয়ার জন্য। তাই তিনি পরে প্রথম এবং শেষ লাইন পড়ে বেরিয়ে যান। অন্যদিকে শুভেন্দুর বক্তব্য ছিল, মমতার ইশারাতে তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা রাজ্যপালকে শারীরিক হেনস্থা করেছে!