উত্তরাখণ্ডে দুর্যোগ, আটকে বাংলার বহু পর্যটক! সন্ধানে আইটিবিপি

উত্তরাখণ্ডে দুর্যোগ, আটকে বাংলার বহু পর্যটক! সন্ধানে আইটিবিপি

কলকাতা: হিমাচল প্রদেশ ট্রেকিংয়ে গিয়ে রাজ্যের সাতজন বাঙালি পর্যটক এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। গত মঙ্গলবার তাঁদের ছিটকুলে পৌঁছানোর কথা থাকলেও সেখানে তাঁরা না পৌঁছনোয়, তাঁদের সন্ধানে আজ থেকে আইটিবিপি জওয়ানরা খোঁজার কাজ শুরু করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে৷

বাংলার যেসব পর্যটক নিখোঁজ রয়েছেন তাঁরা হলেন মিঠুন দাড়ি, তন্ময় তিওয়ারি, সবিয়ান দাস, বিকাশ মাকাল, সৌরভ ঘোষ, রিচার্ড মণ্ডল এবং সুখেন মাঝি। উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তারা পাহাড়ি এলাকার কোনও দুর্গম স্থানে আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে৷

টানা তিন দিন ধরে ভয়াবহ বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। মঙ্গলবার রাত অবধি অতি বৃষ্টির জেরে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে অনেকের। এরাজ্যের বেশ কয়েকজন পর্যটকও সেখানে আটকে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ডের দুর্যোগে আটকে থাকা বাংলার পর্যটকদের ফেরাতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। কলকাতা ও হাওড়ার কয়েকটি পরিবার নৈনিতালের কাছে আটকে রয়েছেন। সোমবার রাতেই এদের কাঠগুদাম থেকে ট্রেন ধরার কথা ছিল। সেই মতো নৈনিতাল থেকে রওনা হয়েছিলেন ওই পর্যটকদের দলটি। কিন্তু পথেই ধস নামে। মাঝপথে আটকে পড়েন ওই পর্যটকরা। এদের মধ্যে অধিকাংশই হাওড়ার কোনার বাসিন্দা। এরা পুজোয় উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়ে ধসে আটকে পড়েছেন। এতে উদ্বিগ্ন তাদের আত্মীয় পরিজনরা।

গত সপ্তমীর দিনে হাওড়া থেকেও পর্যটকদের একটি দল উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তারা হাওড়ার কোনা সহ অন্যান্য এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। সঙ্গে কলকাতার ২ জন রয়েছেন। ওই পর্যটকরা নৈনিতাল আলমোরা রানীক্ষেত হয়ে কাঠগুদাম থেকে ট্রেন ধরার জন্য ফিরছিলেন। সেইমতো যখন তারা গাড়ি করে রানিক্ষেত থেকে কাঠগুদামের দিকে যাচ্ছিলেন সেই সময় কাচছি ধাম এলাকায় পাহাড়ি ধসের কবলে পড়েন। ধসের পাশাপাশি প্রবল ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিতে গাড়িতে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়েন ওই পর্যটকরা।

শেষমেষ সেখানে গ্রামবাসীদের সহায়তায় তাঁদের বাড়িতে গ্রামে রাত কাটান। ওই পর্যটকদের বুধবার সকালে বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও কাঠগুদাম স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে না পারার কারণে তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। হাওড়ার কোনায় বাড়িতে বিপর্যয়ের এই খবর পৌঁছালে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফোনে ভালোভাবে কথা বলাও যাচ্ছে না। বাড়ির লোকজন উদ্বিগ্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + eighteen =