বাড়িতে ঝুলছে তালা, ‘দুর্গা পুজোয় আসবে তো কেষ্ট?’ সংশয়ে অনুব্রতর গ্রামবাসীরা

বাড়িতে ঝুলছে তালা, ‘দুর্গা পুজোয় আসবে তো কেষ্ট?’ সংশয়ে অনুব্রতর গ্রামবাসীরা

কলকাতা:  গরু পাচার মামলার গ্রেফতার তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল৷ বৃহস্পতিবার সকালে নাটকীয়ভাবে বোলপুরের বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই৷ আপাতত সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ বৃহস্পতিবার অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই শুনশান গোটা এলাকা৷ কড়া নিরাপত্তাবলয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে বোলপুর৷ প্রায় একই অবস্থা নানুর ব্লকে হাটশিরান্ডির আদি বাড়িরও।  সেখানেও গভীর নিস্তব্ধতা৷ এদিকে, শিয়রে শরৎ৷ ফি বছর গ্রামের বাড়িতে দুর্গা পুজো করেন অনুব্রত৷ এবারও কি পুজো করতে পারবেন কেষ্ট? প্রশ্ন গ্রামবাসীর একাংশের৷ 

আরও পড়ুন- ১৫ আগস্ট কমে যাচ্ছে মেট্রোর সংখ্যা, সময়সূচি জেনে নিন

হাটশিরান্ডির গ্রামের বাড়িতে প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের বাবার দাদু৷ তারপর থেকে বংশ পরম্পরায় পৈতৃক বাড়ির ভিটেয় পুজো হয়ে আসছে৷ এই বাড়িতেই ছেলেবেলা কেটেছে অনুব্রতর৷ পরে কর্মসূত্রে তিনি আলাদা বাড়িতে থাকতে শুরু করেন৷ হাটশিরান্ডির গ্রাম প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন মণ্ডলরাই৷ এই বছর ১৪১ বছরে পা দেবে সেই পুজো৷ গরু পাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হতেই শুনশান তাঁর গ্রামের বাড়ি। বোলপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও পুজো চারটে দিন পরিবারের সব সদস্য ও গ্রামবাসীদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতেই কাটাতেন কেষ্ট৷ সেখানে গিয়ে গ্রামের মানুষের অভাব অভিযোগের কথাও শুনতেন তিনি।

কিন্তু, বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে এ বছর আদৌ অনুব্রত গ্রামে আসতে পারবেন কিনা, পুজো হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে৷ তবে এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি  গ্রামবাসীরা৷ আপাতত তালা ঝুলছে অনুব্রতর  গ্রামের বাড়িতে৷ তালা পড়েছে দুর্গা মন্দিরেও। নিঃস্তব্ধ গোটা এলাকা। তবে অনেকেই জোড় গলায় জানিয়েছেন, এলাকাবাসীর জন্য সব সময় ঝাঁপিয়ে পড়তেন অনুব্রত। এই অঞ্চলে বহু পুরনো মন্দির সংস্কারও করেছিলেন তিনি। তাঁর উদ্যোগেই পুজোর চারটে দিন গোটা গ্রাম হয়ে উঠত একটা পরিবার৷ এ বছর সেই চিত্র আর দেখা যাবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়৷ জানা গিয়েছে, অনুব্রত গ্রেফতার হওয়া ইস্তক কেঁদেই চলেছেন তাঁর কন্যা৷