টাকা দেব আমরা, নাম কিনবে ওঁরা? সরকারি প্রকল্পের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা মমতার

নামখানা: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে বসে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতারণা অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ, নামখানায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে রাজ্য সরকারি প্রকল্পের খোঁজ-খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কৃষকদের ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি, হাঁস-মুরগি পালন ও ১০০ দিনের কাজের গতি বাড়াতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একই সঙ্গে ধান কেনা নিয়ে জেলা প্রশাসনকে কড়া বার্তা দেন মমতা৷ বাংলার

টাকা দেব আমরা, নাম কিনবে ওঁরা? সরকারি প্রকল্পের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা মমতার

নামখানা: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে বসে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতারণা অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ, নামখানায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে রাজ্য সরকারি প্রকল্পের খোঁজ-খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কৃষকদের ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি, হাঁস-মুরগি পালন ও ১০০ দিনের কাজের গতি বাড়াতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একই সঙ্গে ধান কেনা নিয়ে জেলা প্রশাসনকে কড়া বার্তা দেন মমতা৷ বাংলার আবাস যোজনায় কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানান তিনি৷ এদিন সরকারি প্রকল্পের নাম পরিবর্তনের নির্দেশ দেন তিনি৷ বলেন, ‘‘সমস্ত পুরানো বোর্ড খুলে লিখবেন, বাংলার আবাস যোজনা ও বাংলার সড়ক যোজনা৷’’

এদিন তিনি বলেন, ‘‘সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য কুইন্টাল প্রতি ১৭৫০ টাকা দাম ধার্য করেছে৷আমাদের কাছে খবর আছে, ফড়েরা সেই ধানের দাম অনেকটা কমিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে নিয়ে আসছে৷ পরে সরকারের কাছে সেই ধান বিক্রি করে পুরো টাকাই নিয়ে যাচ্ছে৷ এটা বন্ধ করার জন্য সরকার একটি পদক্ষেপ নিয়েছে৷ কৃষক সরাসরি আমাদের কাছে ধান দেবে৷ হাতে হাতে চেক নেবে৷ গ্রামের দিকে এজন্য সরকারিভাবে একাধিক সেন্টার খোলা হচ্ছে৷’’ ধান কেনা-বেচা নিয়ে কোন সমস্যা মেটাতে এদিন দলের বিধায়কদের দাঁড় করিয়ে বার্তাও দেন৷

বলেন, ‘‘কেন্দ্র টাকা দেয় না৷ উলটে টাকা কেটে নিচ্ছে৷ উলটে বলছে, আমরা টাকা দিচ্চি৷ ওরা ২০ টাকা দেয়৷ আমরা ৮০ টাকা দিই৷ ৮০ টাকা দিতে পারলে ২০ টাকাও দিতে পারব৷ আমরা টাকা দিচ্ছে, নাম কিনবে ওঁরা৷ এসব চলতে দেব না৷ এটা বাংলা৷’’ বলেন, ‘‘দালাল বা ফড়ে, কারও কাছে ধান বিক্রি করবেন না৷ সরকারের কাছে সরাসরি দেবেন৷’’ একইভাবে দু’টাকা কেজি দরে চাল নিয়েও সতর্ক করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘সরকার অনেক বেশি দামে ওই চাল কিনছে৷ ওই চালের জন্য কাউকে এক পয়সা দেবেন না৷’’ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘মানুষের করের টাকায় সরকারের তহবিল তৈরি হয়৷ তহবিলের সেই অর্থ দিয়ে নাগরিকদের সরকারি পরিষেবা দেওয়া হয়৷’’ মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেন, ‘‘মানুষের যা চাহিদা তা সবটা পূরণ করা সম্ভব নয়৷ কারণ, সিপিএমের রেখে যাওয়া ৪৫ হাজার কোটি টাকা দেনা শোধ করতে হচ্ছে৷ তা সত্ত্বেও যখন যেমন তহবিল তৈরি হচ্ছে, সেখান দিয়ে পরিষেবা খাতে খরচ করা হচ্ছে৷’’ তিনি জানিয়ে দেন, ‘‘এই সরকার মানুষের আপদে-বিপদে সব সময় পাশে থাকবে৷’’ এই কাজে প্রশাসনের কর্তাদের মাঠে নেমে কাজ করারও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − three =