১০০ পার কলকাতার সংক্রমণ! বাংলায় একদিনে মৃত্যু ৮ জনের

১০০ পার কলকাতার সংক্রমণ! বাংলায় একদিনে মৃত্যু ৮ জনের

কলকাতা: রাজ্যের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা একটু নিম্নমুখী হলেও শহরের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে চিন্তা বাড়িয়ে দিল। কারণ আজ কলকাতায় ১০০ পার করেছে একদিনের আক্রান্তের সংখ্যা। চিন্তা জারি রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনাকে নিয়েও। তবে ১০০০-এর মধ্যেই রয়েছে মোট সংক্রমণ যা স্বস্তির বিষয়।

আরও পড়ুন- ঘাটতি মেটাতে বাজার থেকে ভ্যাকসিন সিরিঞ্জ কিনল কলকাতা পুরসভা

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৭০৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১১২ জন কলকাতার! এর পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ৮৮ জন। সংক্রমণের নিরিখে আজ প্রথম দুই স্থানে এই দুই জেলাই। তৃতীয় স্থানে দার্জিলিং। একদিনে সংক্রমিত সেখানকার ৫৭ জন। চতুর্থ স্থানে হুগলি। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৪৮ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ২৩৭ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৮৪ জন। একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন ৭১৯ জন। এদিকে, একদিনে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের বলি হয়েছেন ৮ জন। রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে মোট ১৮ হাজার ৪১০ জনের। 

এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তৈরি হওয়া জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের গঠিত একটি কমিটির রিপোর্ট বলছে, করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউয়ে একদিকে যেমন প্রাপ্তবয়স্করা আক্রান্ত হবেন ঠিক তেমনি শিশুদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে প্রবলভাবে। তবে সব থেকে বেশি চিন্তা থেকে যাচ্ছে সেই সব শিশুদের নিয়ে যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে। এই সমস্ত শিশুদের দ্রুত টিকাকরণ যাতে হয়ে যায় তার দিকে নজর দিতে বলা হচ্ছে। একই সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে, আগামী অক্টোবর মাসে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটাবে। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখন রাজ্যের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে পুজোর পরেই স্কুল খোলার কথা ভাবা হচ্ছে। তখন যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকে এবং তৃতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার না নেয়, তাহলে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দুর্গা পুজোর পর স্যানিটাইজেশন করে স্কুল খুলবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে এটি কতটা সম্ভব হবে তা এখন থেকেই বলা যাচ্ছে না, কারণ পুজোর মাসেই করোনা তৃতীয় ঢেউ সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হবে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে কেন্দ্রীয় সরকারি রিপোর্টে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + fourteen =

সুস্থতার সংখ্যা স্বস্তি দিচ্ছে, রাজ্যে কমল মৃত্যুও

সুস্থতার সংখ্যা স্বস্তি দিচ্ছে, রাজ্যে কমল মৃত্যুও

কলকাতা: রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা আরও একটু কমল। কয়েকটি জেলা চিন্তায় রাখলেও আপাতভাবে বাংলার করোনা আবহ স্থিতিশীল। যদিও গতকালের তুলনায় আজ আক্রান্তের সংখ্যা অল্প বেড়েছে। তবে ১০০০-এর মধ্যেই রয়েছে মোট সংক্রমণ যা স্বস্তির বিষয়।

আরও পড়ুন- উদ্ধবকে ‘জোরে থাপ্পড়’ মারতে চেয়েছিলেন, গ্রেফতার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৭০৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৮৯ জন কলকাতার এবং উত্তর ২৪ পরগনার। সংক্রমণের নিরিখে আজ প্রথম স্থানে এই দুই জেলাই। দ্বিতীয় স্থানে ফের হাওড়া। একদিনে সংক্রমিত সেখানকার ৫৭ জন। তৃতীয় স্থানে দার্জিলিং, সেখানে আক্রান্ত ৫৪ জন বাসিন্দা। চতুর্থ স্থানে পূর্ব মেদিনীপুর। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৫২ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮১৭ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লক্ষ ১৭ হাজার ২৩৯ জন। একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন ৭৩০ জন। এদিকে, একদিনে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের বলি হয়েছেন ১০ জন। রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে মোট ১৮ হাজার ৩৯৩ জনের। 

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ হাজার ৫৯৩ জন। আর কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৬৪৮ জনের, জা গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে, একদিন সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ১৬৯ জন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৩২৭ জন। সব মিলিয়ে দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ ১২ হাজার ৩৬৬ জন। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ভারতে সম্ভবত অতিমারির দিন শেষ হয়ে এসেছে। অর্থাৎ এতদিন ধরে যে ‘প্যান্ডেমিক’ চলছিল সেটি এখন পৌঁছে গিয়েছে ‘এন্ডেমিক’-এর জায়গায়। ভারতে এখন করোনাভাইরাস এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে মনে করা হচ্ছে পরিস্থিতি এখন অতিমারি পর্যায়ে নেই। অর্থাৎ ভারত এখন অতিমারি কাটিয়ে তুলনামূলক নিয়ন্ত্রিত জায়গায় পৌঁছচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + 2 =