মুখ্যমন্ত্রীর জরিমানা বাবদ ৫ লাখ টাকা কোথায় গেল? হাইকোর্টে বিজেপির বিক্ষোভ

মুখ্যমন্ত্রীর জরিমানা বাবদ ৫ লাখ টাকা কোথায় গেল? হাইকোর্টে বিজেপির বিক্ষোভ

কলকাতা: নন্দীগ্রাম মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই টাকা অবিলম্বে যে সকল আইনজীবী করোনা অতিমারি মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারকে সাহায্য করতে হবে ,পাশাপাশি করোনা অতিমারি মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী, পুরো কর্মী এবং অত্যাবশ্যক পরিষেবা যুক্ত পুলিশ কর্মচারী আক্রান্ত অথবা মারা গেলে তাদের যেভাবে আর্থিক সাহায্য দেয় রাজ্য সরকার, ঠিক সেভাবেই কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালতের আইনজীবিদের সেভাবেই আর্থিক সাহায্য করুক রাজ্য। এইরকম একাধিক দাবিতে সোমবার হাইকোর্টে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপি আইনজীবী সেলের পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে প্রশ্ন করা হয় যে, মুখ্যমন্ত্রীর জরিমানা বাবদ ৫ লক্ষ টাকা কোথায়? 

এদিন হাইকোর্টের দু নম্বর গেটে হাইকোর্টের আইনজীবী বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাদের দাবি হাইকোর্টের বার কাউন্সিল চেয়ারম্যানের কাছেও। মুখ্যমন্ত্রী জরিমানা ৫ লক্ষ টাকা কোথায় গেল প্রশ্ন আইনজীবীদের। এছাড়াও প্রতিদিনই হাইকোর্টে মামলার জন্য যে টাকা নেওয়া হয় মামলা দায়ের করা জন্য সেই টাকাগুলি কোথায় যাচ্ছে, সেই প্রশ্ন তোলে বিজেপি আইনজীবীরা। হাইকোর্টের বার কাউন্সিলকে বারবার জানানো হলেও তারা কোনো উত্তর দেননি বলেও অভিযোগ উঠছে। এছাড়াও আইনজীবীদের দাবি, কোভিড পরিস্থিতে যে সব আইনজীবীরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন বা অনেক সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। তাঁদের আর্থিক সাহায্য এগিয়ে আসছে না রাজ্য সরকার। বার কাউন্সিল কোনও রাজনৈতিক দল না দেখেই আইনজীবীদের কাছে এই টাকা পৌঁছে দিক বলে দাবি তুলছে তারা। 

আরও পড়ুন- অভিষেকের সফর শুরুর আগেই উত্তপ্ত ত্রিপুরা, ছেঁড়া হল তৃণমূলে হোর্ডিং-ব্যানার

উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম মামলায় তৃণমূল কংগ্রেস বিচারপতি কৌশিক চন্দের বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠ হওয়ার অভিযোগ তুলেছিল। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর সঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছবি পোস্ট করা হয়েছিল। যা নিয়ে আদালতের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। সেই প্রেক্ষিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জরিমানা করা হয়েছিল। বিচারপতির বক্তব্য ছিল, তিনি সর্বদা নিরপেক্ষ থাকেন কিন্তু পেশার তাগিদের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। তা বলে এইভাবে কাউকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে অভিযুক্ত করা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। সেই কারণেই এই জরিমানা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 2 =