কলকাতা: গত বছরের শেষটা সেইভাবে ভালো হয়নি। কাঁপানো ঠান্ডার জন্য অপেক্ষা করছিল বঙ্গবাসী কিন্তু তাপমাত্রা ততটা নীচে নামেনি। উলটে মাঝে বেশ গরম পড়েছিল! সকলে হতাশ হচ্ছিলেন এই ভেবে যে নতুন বছরের শুরুতেও হয়তো শীতের অবস্থা খারাপ থাকবে। এই মরশুমে আর জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে না। কিন্তু ২০২৩ সালের শুরুর কটা দিন যা ইঙ্গিত দিচ্ছে তাতে খুশি হতেই হয়। জেলায় জেলায় আপাতত দাপিয়ে ব্যাট করছে শীত। কোথাও তাপমাত্রা নেমেছে ৩ ডিগ্রিতে, আবার কোথাও তাপমাত্রা ৮।
আরও পড়ুন- বঙ্গের কোভিড গ্রাফ কোন দিকে বইছে, জেনে নিন
বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে যা ১ ডিগ্রি কম। এই প্রথম মরসুমে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির ঘরে ঢুকেছে তিলোত্তমায়। বলাই যায়, নয়া বছরের শুরুতে খেল দেখাতে শুরু করেছে শীত। তবে শুধু কলকাতা নয়, উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় জাঁকিয়ে পড়ছে শীত, নীচে নামছে তাপমাত্রার পারদ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আকাশ মূলত পরিষ্কারই থাকবে। তাই আশা করা যায়, আরও বেশি ঠান্ডা অনুভূত করতে সক্ষম হবে বাংলার মানুষ। তাহলে দেখে নেওয়া যাক, কোন জেলায় কত ঠান্ডা পড়ল।
আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কালিম্পঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে এদিন মালদহ এবং কোচবিহারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ১০.৯ এবং ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেকেছে। পুরুলিয়ায় ৯.৮ ডিগ্রি, বর্ধমানে ৮.৬ ডিগ্রি। বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রির নীচে। পানাগড়, শ্রীনিকেতনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ১০.৬ ডিগ্রি এবং ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি দুই মেদিনীপুরে তাপমাত্রা ১১-১২ ডিগ্রির কাছে ঘোরাফেরা করছে। বাংলার পড়শি রাজ্য সিকিমের একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যেই চলছে তুষারপাত। গ্যাংটকে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রিতে নেমেছিল।