কলকাতা: অন্যান্য সাধারণ যাত্রীর মতোই একটি ব্যাগ নিয়ে নীলাচল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু পরে যা জানা গেল এবং তাঁর ব্যাগ থেকে যা পাওয়া গেল তা দেখে শিহরিত প্রত্যেকে। ভয়ে সিঁটিয়ে গেলেন ট্রেনে তাঁর আশেপাশে থাকা সব যাত্রী, এমনকি রেল পুলিশের আধিকারিকরাও। ওই মহিলার সাধারণ ব্যাগ থেকে বেরিয়েছে একাধিক অজগর সাপ, বিষাক্ত প্রচুর মাকড়সা, গিরগিটি, গুবরে পোকা! এতেই যদি চমকে যান, তাহলে দাঁড়ান। চমকানো আরও বাকি আছে। জানা গিয়েছে, এইসব সাপ, পোকামাকড়ের বাজার দর প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
খড়গপুরের কাছে হিজলি স্টেশন থেকে দিল্লির নীলাচল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন পুনের বাসিন্দা দেবী চন্দ্র নামের এক মহিলা। রেল পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল, ওই ট্রেনে করে কিছু জিনিস পাচার হচ্ছে, যা করছেন এক মহিলা। কিন্তু তাদের আন্দাজ ছিল না যে এই জিনিস হবে। রেলপুলিশ এবং বন দফতরের একটি যৌথ দল ওই মহিলার খোঁজে তল্লাশি চালায় নীলাচল এক্সপ্রেসে। টাটানগরের কাছে তাঁকে পাকড়াও করা হয়। এরপর তাঁর ব্যাগ খুলতেই চক্ষু ছানাবড়া সকলের। ব্যাগে ছিল ২৮ টি অজগর সাপ, মাকড়সা, গিরগিটি এমনকি, গুবরে পোকা। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি অত্যন্ত বিরল প্রজাতির প্রাণী এবং সবক’টির বাজারদর কম করে ৫০ কোটি টাকা।
পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলা হিজলিতে এসেছিলেন নাগাল্যান্ড থেকে। এদিকে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, এই পাচারের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাঁকে শুধু মাত্র ওই বিষধর জীবগুলিকে বয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ দেওয়া হয়েছিল, তাও মাত্র ৮ হাজার টাকার বিনিময়। কে দিয়েছিল? মহিলা জানিয়েছেন, নাগাল্যান্ডের এক ব্যক্তি তাঁকে এই কাজ করতে বলেন। প্রাণীগুলিকে উদ্ধার করা হলেও এখনও স্পষ্ট নয় যে তাদের কেন পাচার করা হচ্ছিল।