কলকাতা: তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতি প্রসঙ্গ তুলে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলকে নিশানায় নিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সরাসরি মমতার নাম নিয়ে তিনি বলেন, সারদার টাকার মূল ভোগী তিনি। কয়লা, গরু পাচারের প্রধান ভোগী মমতার বাড়ির লোক। সম্প্রতি চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলও। হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছেন তিনি। গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ এই সব নিয়েই বাংলার শাসক দলকে নতুন করে নিশানা করেন শুভেন্দু। যার পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন- ইভিএম কারচুপিতে জিতেছে! বাংলায় হেরেও লজ্জা নেই বিজেপির, প্রতিক্রিয়া মমতার
তৃণমূল নেতৃত্বকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সির উচিত এইসব নেতাদের না ডাকাডাকি করে সোজা ভেতরে ঢোকানো! সারদার প্রধান বেনিফিশিয়ারির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লা, গরু পাচারের প্রধান বেনিফিসিয়ারি ওনার বাড়ির লোক। তাই সকলের যে ভয় থাকবে তা বলাই বাহুল্য। ওদিকে, অনুব্রত মণ্ডলও অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন। তাঁর নাম করে শুভেন্দু বলেন, তিনি অসুস্থ হয়ে কী করছেন সেটা আগে দেখা উচিত। যদিও এইসব বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কূণাল ঘোষ। তিনি বলেন, পেগাসাস তদন্তেও শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা উচিত। শুভেন্দু এত কথা বলছেন কিন্তু নারদ মামলার এফআইআরে তাঁর নাম রয়েছে। সারদা মামলায় গ্রেফতারি এড়ানোর জন্য তিনি বিজেপিতে গিয়েছেন। এমনই দাবি করেছেন তিনি।
আসলে আজ অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করে আদালত জানায়, এই মুহূর্তে অনুব্রত মামলায় হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই৷ বারবার আদালত কেন হস্তক্ষেপ করবে? তবে বিকল্প আইনি ব্যবস্থা রয়েছে৷ চাইলে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন অনুব্রত৷ গত ৭ মার্চ গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে তৃতীয়বারের জন্য নোটিশ পাঠায় সিবিআই৷ তাঁকে বলা হয়, ১৪ মার্চ সকাল ১১টার সময় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে৷ ওই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ কিন্তু, আদালত জানায়, অনুব্রত মণ্ডলের আবেদন খারিজ করা হয়েছে৷