গত ৩ দশকে রেকর্ড, তলানিতে ঠেকেছে সোনার চাহিদা

গত ৩ দশকে রেকর্ড, তলানিতে ঠেকেছে সোনার চাহিদা

3 stocks recomended

নয়াদিল্লি: সোনার চাহিদা রেকর্ড হারে কমছে ভারতে। ২০১৯ সালে এই সময়ে এদেশে সোনার ছিদা যা ছিল, তা কমেছে ৫০ শতাংশ। শুধু তা-ই নয়, গত তিনদশকের নিরিখে চাহিদা এসে পৌঁছেছে একবারে তলানিতে। করোনা পরিস্থিতির জেরে সারা দেশে লকডাউনের ফলেই পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মাস চার-পাঁচেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে এই পতন। সোনার চাহিদা কমার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে কোভিড ১৯ মহামারীর কথা। ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশে লকোডাউন জারি হওয়ায় তৈরি হয়েছে মন্দা। পাশাপাশি সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখার জন্য বন্ধ হয়েছে সামাজিক নানা উৎসব অনুষ্ঠানও। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে সোনার বাজারে। অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি দোমেস্টিক কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে, 'আমরা এর আগে এরকম পরিস্থিতি কখনও দেখিনি। সোনার চাহিদা তলানিতে এসে ঠেকেছে। লকডাউনের জন্য বন্ধ বিক্রিও।'

কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এন. অনন্ত পদ্মনাবন এই প্রসঙ্গে বিবাহের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানকে সোনা বিক্রির উপযুক্ত সময় বলে জানিয়েছেন। লকডাউনের জেরে সেই সামাজিক অনুষ্ঠানও বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়েছে সোনার বাজারে। অন্য একটি জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সুরেন্দ্র মেহতা বলেন, 'লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষ আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনবে, এটাই স্বাভাবিক। তারপর সোনা কেনার মতো বিলাসিতার কথা আসে।'

সোনা আমদানিতে গোটা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে ভারত। প্রতি বছর কয়েকশো টন সোনা আমদানি করে ভারত। সংবাদ সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, যেখানে এক বছর আগেও একমাসে ৯৩.২৪ টন আমদানি করেছে এই দেশ, সেখানে গত মার্চ মাসে সোনা আমদানি হয়েছে মাত্র ২৫ টন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই কমছে এই পরিসংখ্যান। এর নেপথ্যে লকডাউনের পাশাপাশি সোনা আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক বৃদ্ধির ঘটনাও রয়েছে। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে আমদানি শুল্ক ২.৫% বাড়িয়েছিল সরকার। বাজেটে সেই নির্দেশ অনুসারে সোনা আমদানি শুল্ক বেড়ে হয়েছে ১২.৫ শতাংশ। এর ফলেও চাহিদা কমেছে সোনার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − six =