নয়াদিল্লি: তাঁর বেতন ছিল ১৫ কোটি টাকা৷ কিন্তু, ২০২০ সালে করোনা মহামারি মাথাচাড়া দিতেই বেতন নেওয়া বন্ধ করে দেন তিনি৷ সেই থেকে টানা দু’বছর বিনা বেতনই কাজ করে চলেছেন রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি।
আরও পড়ুন- সবথেকে বেশি ৫জি স্পেকট্রামের বরাত পেলেন আম্বানি! দাম শুনলে চমকাবেন
কোভিড গ্রাস করতেই দেশে সামাজিক, আর্থিক ও শিল্পের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়তে থাকে৷ সেই পরিস্থিতিতে সংস্থার ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির জন্য নিজের বেতন না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুকেশ আম্বানি। বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু, স্বেচ্ছায় যে বেতন নেওয়া তিনি বব্ধ করেছিলেন, সেই বেতন আজও নিতে নারাজ৷
নিজের সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ বা RIL থেকে শেষ দু’বছরে কোনও বেতন নেননি মুকেশ আম্বানি। রিলায়েন্সের বার্ষিক রিপোর্টে তাঁর বেতনের জায়গাটি শূন্য লেখা রয়েছে৷ কোম্পানির খরচ কমাতেই এই পদক্ষেপ করেছিলেন রিলায়েন্স কর্তা৷ এমনটাই মত অর্থনীতিবিদদের একাংশের।
মুকেশ আম্বানির বেতন ছিল ১৫ কোটি টাকা৷ ২০০৮-০৯ সালে নিজের জন্য এই বেতন ধার্য করেছিলেন তিনি। তারপর থেকে শেষ বারো থেকে চোদ্দ বছর একই বেতনে কাজ করে গিয়েছেন৷ কর্মীদের বেতন বৃদ্ধ করলেও নিজের বেতন বৃদ্ধি করেননি৷ আর শেষ দুই বছরে বেতন গ্রহণই করলেন না আম্বানি৷
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের তরফে জানানো হয়েছে-কোভিড পরিস্থিতিতে কোম্পানির ব্যবসায়িক বৃদ্ধি বজায় রাখতেই নিজের বেতন বন্ধ করেছিলেন মুকেশ মুকেশ৷ এটা প্রাথমিক ভাবে ছিল ২০২০-২১ সালের সিদ্ধান্ত৷ কিন্তু ২০২২-২৩ সালেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি। অর্থাৎ, এই বছরেও কোনও বেতন নেবেন না রিলায়েন্স কর্তা৷
সাম্প্রতি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গৌতম আদানির চেয়ে তুলনায় বেশ পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। মুকেশ আম্বানিকে পিছনে ফেলে বিশ্বের চতুর্থতম ধনী গৌতম আদানি৷ সেরা দশের তালিকায় আম্বানির নাম রয়েছে অনেকটা নীচে৷ সেই কারণেই হয়তো এখনও বেতন নিতে ইচ্ছুক নন রিল কর্তা৷ তবে কতদিন দিন নিজের বেতন বন্ধ রাখেন সেটাই দেখার বিষয়৷
২০১৯-২০ অর্থবর্ষে মুকেশের বেতন ও ভাতা মিলিয়ে পাওয়ার কথা ছিল ৪.৩৬ কোটি টাকা। যা ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ছিল ৪.৪৫ কোটি টাকা। ২০২০ সালে তাঁর কমিশন ছিল ৯.৫৩ কোটি টাকা৷ বেতনের অতিরিক্ত টাকা ৩১ লক্ষ থেকে বেড়ে ৪০ লক্ষ হয়। তাঁর অবসরকালীন ভাতা ৭১ লক্ষ টাকা। মুকেশ বেতন নেওয়া বন্ধ করলেও, ২০২০ সালে তাঁর আত্মীয় নিখিল আর.মেসওয়ানি ও হিতাল আর.মেসওয়ানির বেতন ২০.৫৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২৪ কোটি টাকা হয়। মুকেশের স্ত্রী নীতা অম্বানি সংস্থার নন-এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর৷ কিন্তু, তিনি কমিশন বাবদ পান ১.১৫ কোটি টাকা। তাঁর সিটিং ফি সাত লক্ষ টাকা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>
