নোট বাতিল কোনও রকম ধাক্কা নয়, GST-র সুবিধা পাচ্ছে দেশ: নরেন্দ্র মোদী

নয়াদিল্লি: বিজেপি একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন৷ সব দলের সম্মতি নিয়েই জিএসটি চালু করেছি৷ কিন্তু, বিরোধীরা জিএসটি নিয়ে রাজনীতি চলছে বলে সংসবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর৷ এদিন তিনি বেশ কিছু তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরেন৷বলেন, ‘‘যখন জিএসটি চালু হয়েছিল, তখন কেন বিরোধিতা করা হয়নি৷ এখন যখন রাজ্যগুলির আয় বাড়ছে, তখন কেন এত বিরোধিতা৷’’ এদিন

3 stocks recomended

নোট বাতিল কোনও রকম ধাক্কা নয়, GST-র সুবিধা পাচ্ছে দেশ: নরেন্দ্র মোদী

নয়াদিল্লি: বিজেপি একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন৷ সব দলের সম্মতি নিয়েই জিএসটি চালু করেছি৷ কিন্তু, বিরোধীরা জিএসটি নিয়ে রাজনীতি চলছে বলে সংসবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর৷

এদিন তিনি বেশ কিছু তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরেন৷বলেন, ‘‘যখন জিএসটি চালু হয়েছিল, তখন কেন বিরোধিতা করা হয়নি৷ এখন যখন রাজ্যগুলির আয় বাড়ছে, তখন কেন এত বিরোধিতা৷’’ এদিন তিনি বলেন, ‘‘দেখুন, আমরা ৫০০টির বেশি পণ্য শূন্য শতাংশ করে দিয়েছে৷ ধাপে ধাপে জিএসটির হার পরিবর্তন আনা হচ্ছে৷ সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য আমরা এই দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে জিএসটি চালু করেছি৷’’ নোটবন্দি ইস্যুতে বলেন, ‘‘এটা কোনও ধাক্কা নয়। মানুষকে এক বছর আগেই জানিয়েছিলাম, যাদের কাছে বেশি সম্পদ বা কালো টাকা রয়েছে, তারা ব্যাঙ্কে জমা করুক। সরকারকে কর দিলে সুবিধা তাদেরই হতো৷’’

জিএসটি নিয়ে রাহুল গান্ধীর কটাক্ষ ‘গব্বর সিং ট্যাক্স’ মন্তব্য পাল্টা জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘যাঁর যেমন ভাবনা, তাঁর তেমন উক্তি! কিন্তু তাঁদের জানা উচিত এই জিএসটির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে কংগ্রেস আমলেই। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ জিএসটির সমালোচনা করতে গিয়ে নিজেদেরই সমালোচনা করছে কংগ্রেস৷’’

এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ বছরের প্রথম আট মাসে প্রায় ১২,০০০ কোটি টাকা জিএসটি ফাঁকি সরকার চিহ্নিত করা হয়েছে৷ ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের এপ্রিল-অক্টোবর, এই ৭ মাসে ৬,৫৮৫টি ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে পেরেছে কেন্দ্র৷ যার থেকে ৩৮,৮৯৬ কোটি টাকা জিএসটি ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে৷ সাত মাসে ৩৯৮টি কেসে ৩,০২৮.৫৮ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় উৎপাদন শুল্ক ফাঁকি এবং ৩,৯২২টি কেসে ২৬,১০৮.৪৩ কোটি টাকা সার্ভিস ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে৷ এর পাশাপাশি ধরা পড়েছে ৬,৯৬৬.০৪ কোটি টাকার ১২,৭১১টি সীমাশুল্ক ফাঁকির ঘটনাও৷ যার থেকে দেখা যাচ্ছে এপ্রিল-অক্টোবর এর মধ্যে প্রায় ৭৫,০০০ কোটি টাকা অপ্রত্যক্ষ কর ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে দেশে৷যদিও এই সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও সীমাশুল্ক পর্ষদ ৯,৪৮০ কোটি টাকা জিএসটি ফাঁকি, ৩,১৮৮ কোটি টাকা সার্ভিস ট্যাক্স ফাঁকি, ১,৬০০.৮৪ কোটি টাকা উৎপাদন শুল্ক ফাঁকি এবং ৩৮৩.৫ কোটি টাকা সীমাশুল্ক ফাঁকির ঘটনা রুখে তা আদায় করতে সমর্থ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 3 =