৪০ বছরে সর্বনিম্ন দেশের জনতার ক্রয়ক্ষমতা, ‘সুদিনে’র পর্দাফাঁস!

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের মোদির সরকারের ‘সুদিনে’র স্বপ্নে কালী ছিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করল সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক ‘বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’৷ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান দপ্তরের প্রকাশিত প্রতিবেদন ফাঁস করে মোদি সরকারের আমলে জনতার ক্রয় ক্ষমতার বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে৷ সংবাদমাধ্যে তথ্য ফাঁস হতেই রিপোর্ট প্রকাশ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকার৷ রিপোর্ট চেপে সরকারের তরফে দাবি জানানো হয়েছে,

3 stocks recomended

৪০ বছরে সর্বনিম্ন দেশের জনতার ক্রয়ক্ষমতা, ‘সুদিনে’র পর্দাফাঁস!

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের মোদির সরকারের ‘সুদিনে’র স্বপ্নে কালী ছিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করল সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক ‘বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’৷ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান দপ্তরের প্রকাশিত প্রতিবেদন ফাঁস করে মোদি সরকারের আমলে জনতার ক্রয় ক্ষমতার বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে৷

সংবাদমাধ্যে তথ্য ফাঁস হতেই রিপোর্ট প্রকাশ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকার৷ রিপোর্ট চেপে সরকারের তরফে দাবি জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস বা এনএসও রিপোর্টে তথ্যগত ত্রুটি আছে৷ ফলে, সরকার তা প্রকাশ করবে না৷

কিন্তু, কী আছে সেই সরকারি ভাবে অপ্রকাশিত তথ্যে? সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক ‘বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’ এনএসও রিপোর্ট ফাঁস করে জানিয়েছে, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন মাসের মধ্যে গ্রামাঞ্চলের মানুষের পণ্য কেনার ক্ষমতা কমেছে ৮.৮ শতাংশ৷ জানানো হয়েছে, দেশের ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশই গ্রামে বসবাস করেন৷ তাঁদের মধ্যে খাদ্য, শিক্ষা ও পরিচ্ছদ ক্রয় ক্ষমতা কমেছে৷ ১৯৭২ সালের পর এমন ঘটনা ভারতীয় অর্থনীতিতে বিরল৷ শহরাঞ্চলে মানুষের পণ্য কেনার ক্ষমতা ১১.৫ কমেছে৷ গ্রাম-শহর মিলিয়ে দেশের জনতার ক্রয় ক্ষমকতা কমেছে ১৩ শতাং৷

গত জুনে এনএসও’র রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু, তা প্রকাশ করা হয়নি৷ কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের আধিকারিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, এনএসও’র রিপোর্টটি অসম্পূর্ণ৷ ফলে তা এখনই প্রকাশ করা যাবে না৷ এর আগে চলতি বছরের শুরুতেই দেশের বেকারত্ব নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছি এনএসও৷ সেই রিপোর্ট প্রকাশ করে দুই শীর্ষ আধিকারিক পদত্যাগও করেন৷

সেখানে জানানো হয়, গত ৪৫ বছরে বেকারত্বের হার এই মুহূর্তে দেশের সর্বাধিক৷ লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সেই রিপোর্টের সত্যতা অস্বীকার করে কেন্দ্রী৷ ভোট মেটার পর গত মে মাসে কেন্দ্রীয় সরকার সেই রিপোর্ট প্রকাশ করে বেকারত্বের তথ্য প্রকাশ করে৷ এবার জনতার ক্রয় ক্ষমতা সংক্রান্ত ‘অপ্রকাশিত তথ্যে’র সত্যতা মোদি সরকার স্বীকার করে কি না, সেদিকেই তাকিয়া রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল৷ নজর রাখছে কংগ্রেসও৷ রাহুল গান্ধী নিজেও সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রকাশ করে কেন্দ্রকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *