কলকাতা: আগামী ১৫ অক্টোবরের পর স্কুল ও কলেজ খোলা যেতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারা ছেড়েছিল রাজ্যের হাতেই। আর সেই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়ে দিল ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের কোনও স্কুল খুলবে না। এই নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টকে রাজ্যের তরফে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা হাই কোর্টে সম্প্রতি বিজেপি নেত্রী ও আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল একটি মামলা দায়ের করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল বারো বছরের কম যাদের বয়স সেই সব শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়। তাই এই পরিস্থিতিতে স্কুল যাতে রাজ্য সরকার চালু না করে তা দাবি করেছিলেন তিনি। সেই মামলাতেই রাজ্য সরকারের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। এই নিয়ে স্কুলগুলিকে নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফে এই বক্তব্য পেশ করার পর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, রাজ্য যখন স্কুল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে তখন আদালত এখানে আর হস্তক্ষেপ করবে না।
আরও পড়ুন: কী ভাবে খোলা হবে স্কুল? কী বলছে কেন্দ্রের নির্দেশিকা? জানুন বিস্তারিত
কিছুদিন আগে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে তারা কবে স্কুল, কলেজ এবং কোচিং ইনস্টিটিউটগুলি আবার খুলতে চায়। তবে তা অবশ্যই হবে ১৫ অক্টোবরের পর। কেন্দ্র জানায়, ‘‘স্কুলগুলি এখন অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করছে এবং কিছু শিক্ষার্থী শারীরিকভাবে স্কুলে পড়াশোনা করার পরিবর্তে অনলাইন ক্লাসে পড়া পছন্দ করে। তাদের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। শিক্ষার্থীরা কেবল পিতামাতার লিখিত সম্মতিতে স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে।’’ উপস্থিতি অবশ্যই বাধ্যতামূলক করা উচিত নয় এবং অবশ্যই সম্পূর্ণ পিতামাতার সম্মতির উপর নির্ভর করবে সিদ্ধান্ত। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি স্কুল ও কলেজগুলি পুনরায় চালু করার আগে স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা সতর্কতার উপর তাদের নিজস্ব স্যানডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওরস (SOPs) তৈরি করবে।
কেন্দ্রের তরফে এও বলা হয়, ‘‘যে স্কুলগুলিকে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির শিক্ষা বিভাগ দ্বারা জারি করা এসওপি অনুসরণ করতে হবে। উচ্চশিক্ষা বিভাগ (ডিএইচই), শিক্ষা মন্ত্রণালয় কলেজগুলি ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খোলার সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। পরিস্থিতি নির্ধারণের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (এমএইচএ) পরামর্শক্রমে অনলাইন / দূরশিক্ষণ শিক্ষার পছন্দসই পদ্ধতি হিসাবে অব্যাহত থাকবে এবং চলবে।’’ তবে কেবলমাত্র গবেষক (পিএইচডি) এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষাগার ও পরীক্ষামূলক কাজগুলির জন্য উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে ১৫ অক্টোবর থেকে খোলার অনুমতি দেওয়া হবে।
![](https://aajbikel.sortd.pro/wp-content/uploads/2024/03/ad-728x90-1.png)