নয়াদিল্লি: বিদ্যাসাগরের পর এবার স্বামী বিবেকানন্দ৷ ফের ভাঙল মনীষীদের মূর্তি৷ বিবেকানন্দের মূর্তি ভেঙে লেখা হল অশ্লীল স্লোগান৷ বিদ্যাসাগর কলেজে পড় এবার স্বামীজির মূর্তি ভেঙে লজ্জাজনক ঘটনার সাক্ষী থাকল জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়৷
জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়৷ ছাত্র আন্দোলনের পীঠস্থান বলেই মনে করা হয়৷ এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই জন্ম নিয়েছে একের পরে এক ছাত্র-আন্দোলন৷ বিদ্রোহ, বিপ্লব দেখেছে গোটা দেশ৷ কিন্তু ছাত্র আন্দোলনের নামে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে কলঙ্কিত করার ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও ছাত্রদের ভূমিকা৷
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক পরেই এই মূর্তির উদ্বোধন হওয়া কথা ছিল৷ কিন্তু মূর্তি উদ্বোধন হওয়ার দিন তিনেক আগে নবনির্মিত বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘিরে গোটা দেশজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে৷ সব হয়েছে শিক্ষক মহল৷
Sunny Dhiman, NSUI: We condemn this incident. The statue of Vivekananda in JNU campus was not vandalised, some people had written on its platform. I don’t think any student of JNU could have done this. Now, we have cleaned it. pic.twitter.com/LzA2stEMzL
— ANI (@ANI) November 14, 2019
কারা এই ঘটনা ঘটাল? কীভাবে ঘটল? তা অবশ্য কিছুই জানতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ মূর্তির চত্বরে কোন সিসিটিভি ফুটেজ আছে কি না তা খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ তবে প্রশ্ন উঠছে, মূর্তি ভেঙে কেন সেখানে অশ্লীল শব্দ লেখা হল? কেন সেখানে গেরুয়া, বিজেপি, ফ্যাসিজম নিপাত যাকের মতো স্লোগান লেখা হল? ছাড়াও এমন একটি অশ্লীল মন্তব্য করা হয়েছে, তা প্রকাশের অযোগ্য৷ পরে সেই লেখা মুছে ফেলা হয়৷ সকালে মূর্তি ভাঙার পর সন্ধ্যায় বিবেকানন্দের মুখ ঢাকা মূর্তির নীচে বাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা দেখানো হয়৷
Delhi: A statue of Swami Vivekananda inside Jawaharlal Nehru University(JNU) was vandalized by miscreants.More details awaited. pic.twitter.com/UM8QPWjlOU
— ANI (@ANI) November 14, 2019
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, যে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একের পর এক ছাত্র আন্দোলন দেখেছে গোটা দেশ, রাজনৈতিক সচেতন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যেই এমন ঘটনা আদেও কি কাম্য?