সুপ্রিম রায়ে চরম অনিশ্চিত বাংলার পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ! বাতিল হবে ফলাফল?

সুপ্রিম রায়ে চরম অনিশ্চিত বাংলার পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ! বাতিল হবে ফলাফল?

 

কলকাতা: পরীক্ষা না নিয়ে কোনও পড়ুয়াকে উত্তীর্ণ করা যাবে না৷ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিতে হবে৷ কিন্তু রাজ্য সরকার চাইলে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইউজিসি সঙ্গে আলোচনার পর পরীক্ষার দিন খন পিছিয়ে দিতে পারে৷ আজ সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই রায় ঘোষণা হওয়ার পর চূড়ান্ত উৎকণ্ঠায় পড়েছেন বাংলার পড়ুয়াদের একাংশ৷ কেননা ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের অ্যাডভাইজারি অনুযায়ী একাধিক কলেজ চূড়ান্ত বর্ষের ফল প্রকাশ করে দিয়েছে৷ সে ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সৌজন্যে বাতিল হয়ে যাবে সেই সমস্ত ফল? পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? মতামত জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷

আজ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইনাল পরীক্ষা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিতে হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ আজ পরীক্ষা বাতিল মামলায় শীর্ষ আদালতে যেসব আবেদন জমা পড়েছিল তা খারিজ হয়ে গিয়েছে৷ সর্বোচ্চ আদালত বহাল রেখেছে ইউজিসির নির্দেশিকা৷ রাজ্য সরকার চাইলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে পারে, তবে ইউজিসির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ তবে দিন পিছিয়ে গেলেও পরীক্ষা নিতে হবে৷ পরীক্ষা ছাড়া কোনও পড়ুয়াকে উত্তীর্ণ করা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে৷ কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর বাংলায় কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল প্রকাশের ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন অনিশ্চয়তা৷

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে রাজ্য সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ করোনা আবহে রাজ্য সরকার পরীক্ষা নেওয়ার বিরুদ্ধে নয়, তাও জানিয়েছেন তিনি৷ তবে এই সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার উপযুক্ত সময় নয় বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ আজ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে৷

শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে এখনও কোনও স্পষ্ট অবস্থান দেখা না গেলেও বাংলার পড়ুয়াদের মধ্যে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ কেননা এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ফল প্রকাশ করে দিয়েছে৷ সেই ফলাফলের উপর ভির্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে৷ প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের ফল প্রকাশ করেছে৷ কিন্তু, সুপ্রিম রায়ের পর কী হবে? তাহলে কি এই ফল বাতিল করতে হবে? প্রকাশিত হওয়া ফলাফল কি বাতিল হয়ে যাচ্ছে? তাহলে কি পড়ুয়াদের নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে? নাকি যে আঙ্গিকে ফল প্রকাশ করা হয়েছে, সেই আঙ্গিক রাজ্য বহাল রাখবে? উদ্বেগে বাংলার কয়েক লক্ষ্য পড়ুয়া৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − eight =