প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে D.EL.Ed কোর্সে ভর্তি সুযোগ, উচ্চমাধ্যমিক পাস হলেই সুযোগ

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে D.EL.Ed কোর্সে ভর্তি সুযোগ, উচ্চমাধ্যমিক পাস হলেই সুযোগ

কলকাতা:  পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি জেলায় সরকার অনুমোদিত ওসরকার পোষিত ও বেসরকারি ৬৪৬টি প্রাইমারি টির্চাস ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশান (ডি.এল.এড)কোর্সে ভরতি শুরু হয়েছে৷ এন.সি. টি.ই’র অনুমোদিত ও পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের স্বীকৃত এই কোর্স ২ বছরের৷ যে কোন শাখার উচ্চমাধ্যমিক পাস ছেলেমেয়েরা মোট অন্তত ৫০% (তপসিলি,ও.বি.সি, প্রতিবন্ধি, প্রাক্তন সমরকর্মীহলে৪৫%) নম্বর পেয়ে থাকলে আবেদন করতে পারেন৷ ভোকেশনাল শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাশরাও ওই শতকরা হারে নম্বর পেয়ে থাকলেও যোগ্য৷ তবে তাঁদের বেলায় ৪% আসম সংরক্ষিত আছে৷

যে মাধ্যমে পড়তে চান, সেই বিষয়ে অন্তত ১০০ নম্বর নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ হতে হবে৷ অথাৎ বাংলা মাধ্যমে পরতে চাইলে উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা বিষয়ে ১০০নম্বর নিয়ে পড়াশুনা করে থাকতে হবে৷ এছাড়াও ইংরিজি আবশ্যিক বিষয় হিসাবে থাকতে হবে৷ বাংলা মাধ্যমে পড়তে চাইলে উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা ও ইংরাজী বিষয়, হিন্দি মাধ্যমে পড়তে চাইলে হিন্দি ও ইংরাজী বিষয় ,সাওতালি মাধ্যমে পড়তে চাইলে অলচিকি ওইংরাজী বিষয় উচ্চমাধ্যমিকে থাকতে হবে ৷ বয়স হতে হবে ১-৭-২১  হিসাবে ৩৫ বছরের মধ্যে ৷ তপসিলিরা ৫ বছর ,ও.বি.সি রা ৩বছর, প্রতিবন্ধীরা ১০ বছর আর প্রাক্তন সমরকর্মীরা যথারীতি বয়সের ছাড় পাবেন ৷ এই কোর্স পাশ করলে প্রাইমারী টিচার ও স্কুল সার্ভিসের পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ নম্বর পাবেন ৷ সীট প্রতিটি প্রতিষ্টানে ৫০টি করে ৷ তবে কয়েকটি প্রতিষ্টানের সীট ১০০টি করে ৷ পড়ানো হবে বাংলা / অনান্য মাধ্যমে ৷ মোট সীট প্রায় ৪৫ হাজার ৷ এর মধ্যে সরকারী প্রতিষ্টানে সীট ৩,৭০০টি ৷ বেসরকারী ৪২,০০০টি ৷ এর মধ্যে বাংলা মাধ্যমে সীট ৪৫,২০০টি , হিন্দি মাধ্যমে ৩০০টি, নেপালী মাধ্যমে১০০টি,উর্দু মাপ্রধ্যমে ৫০টি, সাঁন্তাড় মাধ্যমে৫০টি৷

প্রার্থী বাছাই হবে উচ্চমাধ্যমিকে পাওয়া নম্বর দেখে ৷শতকরা হার নির্ণয়ের সময় প্রথম ও দ্বিতীয় ল্যাঙ্গোয়েজ বিষয় সহ বেস্ট অফ ফাইভে পাওয়া নম্বর দেখে ৷ ই.ভি. এস  র নম্বর এখানে ধরা হবে না ৷ এরপর সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশন ৷ মেধা তালিকা ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে ৷ এই ওয়েবসাইটে  : www.wbbpe.org.http:// wbbprimaryeducation.org এজন্য বৈধ্য ই-মেল আই.ডি থাকতে হবে ৷এছাড়া বয়স ,শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাস্ট সার্টিফিকেট পাশফোট মাপের ফটো ওসিগনেচার স্ক্যান করে নেবেন ৷ প্রথমে ওই ওয়েবসাইটে গিয়ে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাবমিট করলেই নাম রেজিষ্ট্রেশান হয়ে যাবে ৷তারপর পরীক্ষার ফী বাবদ ৩০০ (তপসিলি,প্রতিবন্ধী হলে ১৫০) টাকা জমা দেবেন ৷ টাকা জমা র পর সিস্টেম জেনারেটেড অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম প্রিন্ট করে নেবেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − nine =