কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে স্কুল খুললেও দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে গ্রীষ্মের ছুটি৷ দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ দিন ছুটি বাড়ানো হয়েছে৷ এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছে জনস্বার্থ মামলা৷ সোমবার সেই মামলারই শুনানি ছিল৷ সরকার পক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, গরমের ছুটি আরও বাড়ানো হবে কি? এর জবাবে সরকারি কৌঁসুলি সম্রাট সেন বলেন, এটা নির্ভর করছে আবহাওয়ার গতিবিধির উপর৷ স্কুলে গরমের বাড়তি ছুটি সংক্রান্ত মামলার শুনানি গতকাল শেষ হলেও, রায়দান স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ৷
আরও পড়ুন- সোমবার থেকে শহরে খুলে যাচ্ছে CNI-এর অধীনস্থ সমস্ত স্কুল
মামলাকারী পক্ষের বক্তব্য ছিল, গরমের দাপট অনেকটাই কম৷ বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ অথচ সরকারি, সরকার পোষিত ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে এখনও গ্রীষ্মের ছুটি চলছে৷ দীর্ঘ অতিমারি পর্বে প্রভুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুলে পঠনপাঠন৷ তার উপর ক্রমাগত গরমের ছুটি দীর্ঘায়িত হতে থাকলে ছেলেমেয়েদের ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে৷ যদিও সরকার পক্ষের বক্তব্য, বিভিন্ন জেলায় গ্রীষ্মের প্রখর তেজ দেখেই ছুটি বাড়ানো হয়েছিল। এদিকে সোমবার থেকেই কলকাতার বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে৷
জুনের গোড়াতেই উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে। কিন্তু দক্ষিণে বর্ষা ঢুকতে বেশ কয়েক দিন দেরি করল মৌসুমি বায়ু৷ অবশেষে গত শনিবার সে হাজির গাঙ্গেয় বঙ্গে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গোটা দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকে পড়েছে। অর্থাৎ, গোটা রাজ্যেই মৌসুমি বায়ু ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে গরমের দাপটও। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এখনও স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে কেন?
মে মাসে তাপপ্রবাহ শুরু হতেই গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হয়৷ টানা ৪৫ দিন করা গ্রীষ্মের ছুটি ঘোষণা করা হয়। প্রথম নির্দেশ অনুযায়ী ১৫ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি ঘোষণা করা হলেও জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফের ছুটি আরও ১১ দিন বাড়িয়ে ২৬ জুন পর্যন্ত করা হয়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>