কলকাতা: রাজ্যের স্কুলগুলিতে পার্ট টাইম শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের কলেজের পার্ট টাইম শিক্ষক, শিক্ষিকাদের মতো ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজের স্বীকৃতি, মর্যাদা ও স্থায়ীকরণের আবেদন জানাল পার্ট টাইম স্কুল টিচার্স এন্ড এমপ্লয়ীজ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন। তাদের বক্তব্য, তারা সবসময় সরকারের পাশে আছে, তাই আর্জি মেনে যাতে তাদের সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয় সেই আবেদন করা হয়েছে।
সংগঠনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, রাজ্যের স্কুলের পার্ট টাইম শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত এবং অবহেলিত। অথচ এ রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে রেখেছে তারাই। তাই তাঁদের সরকারিভাবে ৬০ বছর পর্যন্ত কাজের স্বীকৃতির দাবি করা হচ্ছে। সংগঠন বলছে, রাজ্যের বিদ্যালয়গুলোতে বহু শূন্য পদ রয়েছে, যেখানে এই পার্ট টাইম শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীরাই নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে বছরের পর বছর কাজ করে চলেছেন। প্রত্যেকেই উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন। সারা রাজ্যে প্রায় ৭ হাজার জন আছেন এমন। কমপক্ষে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে পঠন-পাঠন সহ যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে আসছে তারা। কিন্তু বর্তমানে নতুন শিক্ষক বদলির কারণে কেবলমাত্র সরকারি স্বীকৃতি না থাকার কারণে, অনেকেরই হঠাৎ করে কাজ চলে যাচ্ছে সম্পূর্ণ অমানবিক ভাবে। এর ফলে তারা সবাই পরিবার-পরিজন নিয়ে অত্যন্ত অসহায় ভাবে দিনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।
এই প্রেক্ষিতে এই অসহায় বঞ্চিত স্কুল পার্ট টাইম শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। তাঁর কাছে এই সংগঠনের দাবি, পার্ট টাইম স্কুল শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজের স্বীকৃতি ,মর্যাদা ও স্থায়ীকরণ করতে হবে। সকল স্কুল শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। কলেজে যেভাবে পার্ট টাইম অধ্যাপকদের নিয়োগ করা হয়েছে, রাজ্যের বিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে স্কুল পার্ট টাইম শিক্ষক ,শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের সেভাবে নিয়োগ করতে হবে। এছাড়া সকল বরখাস্ত স্কুল পার্ট টাইম শিক্ষক ,শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের দ্রুত পুনর্বহাল করতে হবে। পাশাপাশি, অমানবিকভাবে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া সকল স্কুল পার্ট টাইম শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের পুনর্নিযোগ করতে হবে।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি লক্ষীকান্ত মাইতি জানান, রাজ্যের কোনও না কোনও বিদ্যালয়ে নিত্যদিন পার্ট টাইম শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের উপযুক্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কেবলমাত্র সরকারি স্বীকৃতি না থাকার কারণে মানসিকভাবে নিপীড়ন করা হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত অপমান, অবমাননা এবং নানান অমর্যাদাকর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। এর প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন।