ছেলের কাঁধে চড়ে অন্তিম যাত্রায় বাপ্পি লাহিড়ি, মরদেহর পিছনে ছুটল মেয়ে রিমা

ছেলের কাঁধে চড়ে অন্তিম যাত্রায় বাপ্পি লাহিড়ি, মরদেহর পিছনে ছুটল মেয়ে রিমা

মুম্বই: অন্তিম যাত্রায় ডিস্কো কিং বাপ্পি লাহিড়ি৷ মুম্বইয়ের পবন হংস শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর৷ ছেলের কাঁধে চেপেই বাড়ি থেকে শেষবারের জন্য বার হলেন বাপ্পি দা৷ জানা গিয়েছে, মেয়ে রিমা লাহিড়ির কোলে মাথা রেখেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গায়ক-সুরকার৷ তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া বলিউডে৷ শোকে পাথর গোটা পরিবার৷ বাবার দেহ আগলে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়ে রিমা৷  মরদেহর পিছনে ছুটতে থাকেন শোকে বিহ্বল কন্যা৷

আরও পড়ুন- পঞ্চভূতে বিলীন ‘গীতশ্রী’, গান স্যালুটে সম্পন্ন শেষকৃত্য

শেষকৃত্যের প্রস্তুতি আগেই সেরে রাখা হয়েছিল৷ বাপ্পা ও তাঁর স্ত্রী লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ফেরার অপেক্ষায় ছিল গোটা পরিবার৷ বাপ্পার কাঁধে চড়েই বাড়ি থেকে বার হয় বাপ্পি দা’র পার্থিব শরীর৷ সকাল থেকেই তাঁর বাড়ির সামনে উপচে পড়েছিল ভিড়। গায়কের প্রয়াণের খবর শুনে গতকালই বলিউডের একাংশ বাপ্পি দার বাড়িতে এসেছে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানিয়ে গিয়েছেন৷

বাপ্পি

ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে পবন হংস শ্মশানে পৌঁছে গিয়েছে তাঁর মরদেহ। শশ্মানের বাইরেও মানুষের ঢল। ডিস্কো কিং-কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা৷ বাপ্পি দা আর নেই, এই কথাটাই যেন বিশ্বাস হচ্ছে না কারও৷ চিরদিনের মতো না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন বলিউডের ডিস্কো কিং৷ তাঁর প্রয়াণে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার৷  

দীর্ঘদিন ধরেই অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং বুকে সংক্রমণে ভুগছিলেন বাপ্পি দা। একটানা ২৯ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সোমবারই বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁরা৷  

শেষ যাত্রায় তাঁর গায়ে সোনা ছিল না ঠিকই, কিন্তু চোখে ছিল কালো চশমা৷  জীবনের শেষ বেলা পর্যন্ত যে কালো চশমা তাঁর সঙ্গী ছিল, সৎকারের আগেও সেটি তাঁর সঙ্গেই রইল।

১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়ি শহরে জন্ম বাপ্পির। সঙ্গীতের দুনিয়ায় দীর্ঘ কেরিয়ার তাঁরা৷ একইসঙ্গে কাজ করেছেন বাংলা ও হিন্দি ছবিতে৷ সুর দিয়েছেন৷ গেয়েছেন গান৷ তিনি ভালোবাসতেন সোনার গয়না পরতে৷ বলতেন, ‘আমার ভগবানের নাম সোনা!’ গানের জগতে অনন্য পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন তিনি৷ ঝুলিতে এসেছিল একাধিক পুরস্কার এবং সম্মান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 3 =