কলকাতা: না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন দেশের সঙ্গীত জগতের ‘ডিস্কো কিং’ বাপ্পি লাহিড়ী। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের ভাণ্ডার রেখে গিয়েছেন তিনি। হিন্দি, বাংলা ভাষায় তাঁর গানগুলি অমর হয়ে থাকবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া’য় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সঙ্গীত শিল্পীর৷ তিনি নেই কিন্তু তাঁর অগুন্তি গান ছাড়াও রয়ে গিয়েছে তাঁর সম্পত্তি। কী রেখে গেলেন তিনি পরিবারের জন্য? ‘বাপ্পি’দার মোট সম্পত্তির পরিমাণই বা কত।
আরও পড়ুন- ‘ইয়াদ আ রাহা হ্যায়…’ আলবিদা বাপ্পি দা
এককালে দেশের সর্বোচ্চ করদাতাদের মধ্যে একজন ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। তিনি যে গয়না পরতে ভালবাসতেন এবং তাঁর গায়ে যে লক্ষাধিক টাকা গয়না থাকত তা কে না জানে। কিন্তু আদতে কত টাকার গয়না? অনুমান করা যায়, বাপ্পি লাহিড়ীর কাছে গয়নাই ছিল কমপক্ষে ৪০ লক্ষ টাকার! তথ্য বলছে, তিনি ৭৫৪ গ্রাম সোনা ও ৪ কেজি ৬২০ গ্রাম রূপোর মালিক ছিলেন। হাতের ঘড়িও তাঁর সোনার ছিল। এছাড়া প্রত্যেক গানের জন্য তিনি মোটামুটি ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা কর নিতেন। এক ঘণ্টার অনুষ্ঠানের জন্য নিতেন প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা।
তবে শুধু গান গেয়ে বা সুর করে উপার্জন করেননি তিনি। বেশকিছু রিয়েলিটি টিভি শো-এর বিচারক হিসেবে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এছাড়াও ছিল লাইভ পারফরম্যান্স। অন্যদিকে মুম্বইয়ে যে বাড়িতে তিনি থাকতেন তার দাম ২০০১ সালে ছিল সাড়ে ৩ কোটি টাকা। তাহলে এখন তার দাম কত হবে তা আন্দাজ করাই যায়। পাশাপাশি তাঁর সংগ্রহে রয়েছে বিএমডব্লিউ, অডি, টেসলার মতো বেশকিছু বিলাসবহুল গাড়ি। যার এক একটির মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২২ থেকে ২৫ কোটির কাছাকাছি।
আরও পড়ুন- ‘বাপ্পি লাহিড়ি আমাদের উত্তরবঙ্গের ছেলে’, শিল্পীর প্রয়াণে শোকাহত মমতা
মাত্র ১৯ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন বাপ্পি লাহিড়ী৷ ১৯৭২ সালে প্রথম বাংলা ছবিতে কাজ৷ ১৯৭৩ সালে হিন্দি ছবি নানহা শিকারী ছবির জন্য প্রথম সুর দেন তিনি। তারপরের সফরটা ইতিহাস৷ এরপর তাহির হুসেনের জখমী (১৯৭৫) চলচ্চিত্রে কাজ করেন। পর পর দুই ছবিতেই তিনি সকলের নজর কেড়েছিলেন। ৮০’র দশকে মিঠুন চক্রবর্তী এবং বাপ্পী লাহিড়ী একসঙ্গে বেশ কিছু ভারতীয় ডিস্কো চলচ্চিত্রে কাজ করেন। যে ভাবে তিনি ডিস্কো ড্যান্সে গান পরিবেশন করেছিলেন, তা বলিউডে মাইলস্টোন হয়ে থাকবে৷ গানে তো বটেই, সম্পত্তির পরিমাণেও যে তিনি ‘রকস্টার’ ছিলেন তা মানতেই হবে।