কলকাতা: কলকাতায় শো করতে এসে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন দেশের জনপ্রিয় গায়ক কেকে। ঘটনার প্রায় দু’দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও তাঁর মৃত্যু নিয়ে তৈরি হওয়া রহস্য কাটছে না। ঠিক কী ভাবে মৃত্যু হল গায়কের? শুধুই কি মাত্রাতিরিক্ত ভিড়, এসি না চলা, অবহেলা নাকি অন্য কিছু? প্রশ্নের পর প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু উত্তর মিলছে না। কেকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অস্বাভাবিক মৃত্যুর কোনও উল্লেখ নেই কিন্তু এটাও জানান হয়েছে যে তাঁর আগে থেকেই হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল। ভালো ছিল না ফুসফুসের অবস্থাও। এই আবহেই আরও বড় তথ্য সামনে এল। কেকে নাকি হজমের সমস্যার জন্য মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন- ছিলেন ব্যান্ডের লিড সিঙ্গার-ড্রামার, পেটের দায়ে সাধের টাইপরাইটার বিক্রি করেছিলে কেকে
কেকে’র ময়নাতদন্তে অংশ নেওয়া এক চিকিৎসক জানান, অনেক আগে থেকেই তিনি কিছু লক্ষণ পেয়েছিলেন কিন্তু সেটার পাত্তা দেননি। উলটে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই হজমের ওষুধ বা অ্যান্টাসিড খাচ্ছিলেন গায়ক। এমনকি কলকাতার হোটেলেও, যেখানে তিনি ছিলেন সেই ঘরেও প্রচুর অ্যান্টাসিড উদ্ধার হয়েছে। ডাক্তারদের সন্দেহ হৃদযন্ত্রের সমস্যাকে পেট বা হজমের সমস্যা ভেবে নিয়ে তিনি এই ওষুধ খাচ্ছিলেন এবং তাতেই হিতে-বিপরীত হয়। এমনকি তিনি তাঁর স্ত্রীকেও বুকে আর তলপেটে ব্যাথার ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নেননি। অনেকের মতে, এটাই সবথেকে বড় ভুল করে ফেললেন কেকে। যে ভুল শোধরানোর আর সুযোগ পেলেন না। একবার যদি চেকআপ করিয়ে নিতেন তিনি, তাহলে হয়তো এই দিন দেখতে হত না।
কেকে’র ময়নাতদন্তের পর আরও জানা গিয়েছে যে, তাঁকে যদি সেদিন রাতে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে এনে সিপিআর দেওয়া যেত তাহলে হয়তো তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হত। জানা গিয়েছে, কেকে’র বাম দিকের ধমনীতে ৭০ শতাংশ ব্লকেজ ছিল। অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে সেই ব্লকেজ আচমকাই বেড়ে যায় এবং বন্ধ হয়ে যায় রক্ত চলাচল৷ যার পরিণতি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট৷
