‘ওকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না’, বন্ধুকে পাঠানো হোয়াটস অ্যাপে বিরহের যন্ত্রণা

‘ওকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না’, বন্ধুকে পাঠানো হোয়াটস অ্যাপে বিরহের যন্ত্রণা

কলকাতা: বুধবার নাগেরবাজার থেকে উঠতি মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখান থেকেই পুলিশ তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। মোবাইল ফোন ঘেঁটে নাগের বাজার পুলিশের হাতে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। আর তাতেই জোরাল হচ্ছে ত্রিকোন প্রেমের সম্পর্ক। আত্মহত্যার আগে হোয়াটস অ্যাপে মনের কথা জানিয়েছিলেন বন্ধুকে।

বন্ধুকে পাঠানো হোয়াটস অ্যাপের পরতে পরতে বিরহের যন্ত্রণা উঠে এসেছে। বন্ধুকে উঠতি মডেল মেসেজে লিখেছিলেন, ‘ওকে ছাড়া বাঁচতে পারব না রে, বাবা-মায়ের থেকে ওকে বেশি ভালোবাসি।’ পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত্যুর আগে বান্ধবী দিয়া দাসের সঙ্গে মেসেজে কথা বলেন বিদিশা। সেখানে তিনি বার বার সঙ্গীকে কতটা ভালোবাসতেন তাই বোঝাতে চেয়েছিলেন। ইতিমধ্যে পুলিশ বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। বান্ধবী দিয়া দাসের দাবি, অনুভব বেরা নামে এক যুবকের সঙ্গে বিদিশার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তাঁকে ভীষণ ভালোবাসতেন। তারপরেই বিদিশা জানতে পেরেছিলেন, অনুভব অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এই খবরটা জানার পরেই বিদিশা মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন।

জানা যাচ্ছে, বিদিশা ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তবে শারীরিক অসুস্থতাকে দূরে সরিয়ে রেখে মডেল হিসেবে নিজের কেরিয়ার তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন। জিমে গিয়েই অনুভব বেরা নামে যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেখান থেকেই প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। পরিচিতরা বলেন, ওই জিমের ট্রেনার ছিলেন অনুভব। অনুভব আসলে মেদিনীপুরের বাসিন্দা। বিদিশা ঘনিষ্ট মহলে একাধিকবার তাঁর বিচ্ছেদের কথা বলেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নিজেকে শেষ করে দেওয়ার ইচ্ছা একাধিকবার প্রকাশ করেছিলেন। তবে তিনি যে সত্যি সত্যি আত্মহত্যা করবেন, তা কেউ কল্পনা করতে পারেননি।

বুধবার নাগের বাজারের একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে বিদিশার দেহ উদ্ধার করা হয়। বিদিশার ঝুলন্ত দেহের পাশে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি ক্যানসার আক্রান্ত। পেশাগত চাপের জন্য আত্মহত্যা করছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *