আরিয়ানকে ইচ্ছাকৃতভাবেই ফাঁসাতে চেয়েছিলেন সমীর? কী বলছে NCB-র রিপোর্ট

আরিয়ানকে ইচ্ছাকৃতভাবেই ফাঁসাতে চেয়েছিলেন সমীর? কী বলছে NCB-র রিপোর্ট

মুম্বই: মাদক মামলায় শাহরুখ পুত্রের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে জড়ানো হয়েছিল। এমনটাই দাবি করেছেন বিশেষ তদন্তকারী দল। শুধু তাই নয়, এই মামলার তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের নাম কাঠগোড়ায় উঠে এসছে। জানা গিয়েছে, আরিয়ান খান মাদক মামলায় সমীর ওয়াংখেড় সঠিকভাবে তদন্তত করেনি। শুক্রবারই এনসিবির তরফে আরিয়ান খানকে মাদক মামলায় ক্লিন চিট দেওয়া হয়। 

এনসিবির গঠন করা SIT  জানিয়েছে, তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে যেন তেনভাবে আরিয়ান খানকে দোষী সাজানোর চেষ্টা করেছিলেন। এসআইটি রিপোর্টে জানিয়েছে, কারও কাছে মাদক বা অন্য কোনও তথ্য প্রমাণ পাওয়া না গেলে, তাঁর সঙ্গে কখনও আসামীর মতো ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু এক্ষেত্রে আরিয়ান খানের কাছ থেকে সেই ধরনের কোনও প্রমাণ পাওয়া না গেলেও তাঁর সঙ্গে আমাসির মতো ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি SIT জানিয়েছে, আরিয়ান খানের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের মতো ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করার জন্য কোনও নিয়ম মানেননি ওয়াংখেড়। পাশাপাশি প্রমাণ নথি হিসেবে হোয়াটস অ্যাপের চ্যাটের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এনসিবির তরফে জানানো হয়েছে, মামলায় দ্বিতীয় তদন্তের ক্ষেত্রে সন্দেহের তুলনায় প্রমাণের ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই দেখা যায়, এই ক্ষেত্রে সমীয় ওয়াংখেড়ে একাধিক নিয়ম ভঙ্গ করেছিলেন। আরিয়ান খানকে ইচ্ছাকৃত জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। উপযুক্ত প্রমাণ না থাকার জন্য NCB- চার্জশিটে আরিয়ান খানের নাম উল্লেখ করা হয়নি।  

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে একটি দল গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যে NCB  একটি দল গঠন করছে। আরিয়ান খান মামলায় সমীর ওয়াংখেড়ের ভূমিকা তারা খতিয়ে দেখবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, বিলাস বহুল ক্রুজ থেকে সাত মাস আগে আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। প্রায় এক মাস তাঁকে জেলে কাটাতে হয়। ৩০ অক্টোবর তিনি শর্ত সাপেক্ষে ছাড়া পান। তবে এনসিবি তাঁর বিরুদ্ধে চেষ্টা করেও সেভাবে প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি। সবশেষে এনসিবির তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় আরিয়ান খান নির্দোষ।  
                     

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen + 6 =