কলকাতা: অভিনেত্রী পল্লবী দে’র রহস্য মৃত্যু মামলায় নয়া মোড়। লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তী ও তাঁর বান্ধবী ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে গরফা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করল অভিনেত্রীর পরিবার৷
আরও পড়ুন- পল্লবীর মৃত্যুতে কাঠগড়ায় লিভ-ইন পার্টনার! কে এই সাগ্নিক? কী তাঁর পরিচয়
পল্লবীর পরিবারের অভিযোগ, পল্লবী এবং সাগ্নিক যে অ্যাপার্টমেন্টে লিভ ইন রিলেশনে ছিলেন, সেই অ্যাপার্টমেন্টে মাঝেমধ্যেই আসতেন সাগ্নিকের বান্ধবী ঐন্দ্রিলা৷ এবং প্রতিবারই তিনি এসেছেন পল্লবীর অনুপস্থিতিতে৷ এই ঘটনাই পল্লবীর পরিবারের মনে সন্দেহের উদ্রেক ঘটিয়েছে৷ যার ভিত্তিতেই সোমবার বিকেলে গরফা থানায় সাগ্নিক ও ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পল্লবীর পরিবার৷ তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, পল্লবীর বাবার অভিযোগ, এই সম্পর্ক শরুর আগে থেকেই সাগ্নিক বিবাহিত ছিলেন৷ সেই কথা লুকিয়েই তিনি পল্লীর সঙ্গে লিভ ইন রিলেশনে জড়ান৷
এদিকে পল্লবীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পুলিশের হাতে এসেছে৷ তাতে বলা হয়েছে, আত্মহত্যাই করেছেন পল্লবী৷ কিন্তু এই ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই৷ পল্লবীর ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটের ঘরে যখন তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়, তখন সেখানে একমাত্র সাগ্নিক ছিলেন৷ এর পর সেখানে আসেন কেয়ারটেকার৷ ফলত পল্লবীর পরিবারের মনে বেশ কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে৷ তার ভিত্তিতেই সোমবার বিকেলে পল্লবীর বাবা, মা ও ভাই গরফা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন৷ সাগ্নিকের বিরুদ্ধে সরাসরি খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ ষড়যন্ত্রে সামিল থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে৷
জানা গিয়েছে, ঐন্দ্রিলার বাড়ি হাওড়ার রামরাজাতলায়৷ দীর্ঘদিন ধরেই তিনি সাগ্নিকের পরিচিত৷ অভিযোগ, পল্লীর অনুপস্থিতিতে পল্লবীরই ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে সাগ্নিকের সঙ্গে সময় কাটাতে আসতেন ঐন্দ্রিলা৷ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাগ্নিক বা ঐন্দ্রিলার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
জানা গিয়েছে, দেড় বছর ধরে লিভ-ইন রিলেশনে ছিলেন অভিনেত্রী। তবে বেশ কিছুদিন ধরে লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে সমস্যা চলছিল তাঁর। বন্ধুদের সঙ্গে সে কথা শেয়ারও করেছিলেন৷ ঘটনার দিন রাতে আলাদা আলাদা ঘরে ঘুমান পল্লবী ও সাগ্নিক। সকালে উঠে সাগ্নিক দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। লক হোলে উঁকি দিতেই দেখেন গলায় বেডশিট দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন পল্লবী। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ যদিও ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পল্লবীর দেহে কোনও ক্ষতের চিহ্ন মেলেনি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″ height=”315″ frameborder=”0″>