মুম্বই: কেকে’র নাম শুনলে পাগল হবেন না, এমন মানুষ কম আছেন। আর এই জনপ্রিয় গায়ককে কলকাতা কতটা ভালোবাসে তা আগেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল। গতকালও তাঁর শোয়ের যে সমাগম হয়েছিল তাও অন্য মাত্রার। কিন্তু পরিণতি যা হল তা ব্যাখ্যা করা যায় না। কেউ কল্পনা করতে পারেনি এমনটা হতে পারে। কলকাতার শেষ শো-টাই যে জীবনের শেষ শো হয়ে যাবে, তা কৃষ্ণকুমার কুনাথ নিজেও ভাবেননি। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠান নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই। উদ্যোক্তারা সঠিক ব্যবস্থা করেননি বলেই অভিযোগ উঠছ। গায়ক কেকে নিজেও কিছু বিষয় মাথায় রাখেন। সেগুলোও মানা হয়েছিল কিনা জানা নেই।
আরও পড়ুন- মিটিংয়ে স্বামীর পাশে সন্তান কোলে ‘কমরেড’ স্ত্রী! প্রচারে বিমুখ CPIM-এর ‘ভাইরাল কর্মী’
কী মেনে চলতেন কেকে? বহু বছর আগেই এক সংবাদমাধ্যম তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময়ে প্রশ্ন করেছিল যে, স্টেজে পারফর্ম করার সময় তিনি কী কী বিষয় মাথায় রাখেন। কেকে তখন জানিয়েছিলেন, ধুলো তাঁর একদম বরদাস্ত হয় না। মঞ্চে ধুলো উড়লে অনুষ্ঠান করতে তাঁর সমস্যা হয়। তাই তিনি বলে রাখতেন তাঁর স্টেজে ওঠার আগে মঞ্চে জল ছড়িয়ে দিতে। এছাড়াও মঞ্চে ওঠার আগে তিনি কিছু খেতেন না। পেট হালকা খালিই রাখতেন। গতকাল এই বিষয় গুলি মানা হয়েছিল কিনা সেটাও ধন্দ। অনেকের দাবি, অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কিছু পর থেকেই কেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন। প্রথম প্রথম তিনি মঞ্চে রীতিমতো দাপাচ্ছিলেন, নেচে নেচে গান করছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর চলন-গমনে পরিবর্তন দেখা যায়। বারবার ঘাম মুছতে শুরু করেন কেকে, জল খান, স্পটলাইট নেভাতে বলেন। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছিল যে মাঝে কিছুক্ষণ শো বন্ধ রেখে বিশ্রাম নিতে যান তিনি।
তবে রাতেই যে খবর এল তা মর্মান্তিক। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে হোটেলে ফিরেই তিনি মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলেই ঘোষণা করা হয়। ক ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে তাঁকে কার্যত বিধ্বস্ত অবস্থায় মঞ্চ থেকে বের করে আনা হচ্ছে। সেখান থেকে সরাসরি কেকে চলে যান হোটেলে। গাড়িতে ওঠার পর থেকেই তিনি নাকি বলছিলেন যে, তাঁর ঠান্ডা লাগছে, হাত-পা কেমন কামড়ে ধরছে। এরপর হোটেলে ফিরে নিজের রুমে গিয়ে আরও যেন হাল ছেড়ে দেন তিনি।
