কথা বলছেন সৌমিত্র, রবীন্দ্রসংগীত ও নিজের ছবির গান দিয়ে মিউজিক থেরাপি চলছে ফেলুদার

কলকাতা: অনেকাই স্থিতিস্থীল বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। করোনা মুক্ত হওয়ার পর তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। কথা বলছেন তিনি। ফেলুদার চিকিৎসকরা সম্প্রকতি এমন খবরই জানিয়েছেন।
 

কলকাতা: অনেকাই স্থিতিস্থীল বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। করোনা মুক্ত হওয়ার পর তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। কথা বলছেন তিনি। ফেলুদার চিকিৎসকরা সম্প্রকতি এমন খবরই জানিয়েছেন।

করোনা থেকে সেরে ওঠার পর ক্রমশই শরীর ঠিক হচ্ছে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। শনিবার কথা বললেন তিনি। প্রশ্নের উত্তরে প্রতিক্রিয়াও জানা্চ্ছেন। শুনছেন রবীন্দ্রসংগীত ও নিজের ছবির গান। অভিনেতাকে সুস্থ করে তুলতে মিউজিক থেরাপির সাহায্য নিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের বক্তব্য তাঁকে সুস্ত করতে তাঁর পছন্দের গানগুলো শোনানো হচ্ছে। এতে অভিনেতার মস্তিষ্কের আবেগের কেন্দ্র হাইপোথ্যালামাস অংশ সক্রিয় হবে৷ যা মানসিক শান্তি, স্বস্তি ও আনন্দ বাড়াতে সাহায্য করবে। এনআইবিপি মনিটরে এর ফলাফল ধরাও পড়েছে। এছাড়া অভিনেতাকে দেওয়া হচ্ছে ইন্ট্রাভেনাস ইমিউনো গ্লোবিউলিং এবং থাইমোসিন আলফা ওষুধ। এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এনসেফ্যালোপ্যাথির সমস্যা কাটানোর জন্য পালস মিথাইল প্রেডনিসোল ওষুধের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে অভিনেতার। চলছে ফিজিওথেরাপিও।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসায় ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। শনিবার দুপুরে ভালই ঘুম হয়েছে তাঁর। তবে এখনও তাঁকে ITU থেকে সাধারণ কেবিনে আনা হয়নি। ICU-তেই রয়েছেন তিনি। তাঁর এখন আর জ্বর নেই।
গত শনিবার থেকেই অসুস্থ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। জ্বর আসে তাঁর। হালকা করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় করোনা পরীক্ষা করা হয় তাঁর। সোমবার পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। তখনই জানা যায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেতা।

মঙ্গলবার বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের করোনা ধরা পড়ে। মিন্টো পার্ক এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বয়সের কারণে ও অন্যান্য অসুস্থতার কারণে তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ১৬ জন চিকিৎসক তাঁকে দেখছেন। করোনার পাশাপাশি আরও সমস্যা দেখা দেয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। স্নায়ুর সমস্যা শুরু হয়েছিল তাঁর। এছাড়া তাঁর ফুসফুসের অবস্থা নিয়েও চিন্তিত ছিলেন চিকিৎসকরা। তাছাড়া ক্যানসারও এই ক্রমশ শরীরে ছড়িয়ে পড়ছিল মস্তিষ্কে এবং ফুসফুসে। তবে দ্বিতীয় প্লাজমা থেরাপির পর তিনি কিছুটা হলেও স্থিতিশীল হয়েছিলেন। আর বুধবার রাতে জানা যায় করোনা মুক্ত হয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − seventeen =