আসছে ‘মণিকর্ণিকা’-র সিক্যুয়েল, ঘোষণা করলেন কঙ্গনা

মুম্বই: ‘মণিকর্ণিকা: দ্য ক্যুইন অফ ঝাঁসি’ রিলিজ করার পর থেকেই দর্শকের থেকে দারুন সাড়া পেয়েছিল। এবার সিক্যুয়েল হতে চলেছে সেই ছবির। ছবির প্রযোজক ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত একথা জানিয়েছেন।

মুম্বই: ‘মণিকর্ণিকা: দ্য ক্যুইন অফ ঝাঁসি’ রিলিজ করার পর থেকেই দর্শকের থেকে দারুন সাড়া পেয়েছিল। এবার সিক্যুয়েল হতে চলেছে সেই ছবির। ছবির প্রযোজক ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত একথা জানিয়েছেন।

‘মণিকর্ণিকা: দ্য ক্যুইন অফ ঝাঁসি’ ছবিটি রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের জীবন অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। ছবিটি ১২৫ কোটি টাকায় তৈরি হয়েছিল আর বক্স অফিসে তা আয় করেছিল প্রায় দেড়শো কোটি টাকা। সেই ছবিরই সিক্যুয়েল তৈরি হবে বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন কঙ্গনা। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র এবার আর রানি লক্ষ্ণীবাঈ নন। কাশ্মীরের রানি দিদ্দার কাহিনি উঠে আসবে সেলুলয়েডে। ছবিটি প্রযোজনা করবে কঙ্গনার প্রোডাকশন হাউজ। তবে পরিচালকের দায়িত্বও তিনিই সামলাবেন কিনা তা এখনও স্থির হয়নি। কঙ্গনার সঙ্গে ছবিটি প্রযোজনা করছেন কমল জৈন।

দিদ্দা ছিলেন লোহারা রাজবংশের কন্যা। তাঁর বিয়ে হয় রাজা কাসেমাগুপ্তর সঙ্গে। রাজা কাসেমাগুপ্তর শিকারের শখ ছিল। রাজা হওয়ার কিছুদিন পরই অজানা জ্বরে কাসেমাগুপ্তর মৃত্যু হয়। নাবালক ছেলে অভিমন্যু তখন রাজ্যপাট সামলানোর যোগ্য হননি। তাই অভিভাবক হিসেবে রানি দিদ্দা রাজ্যভার গ্রহণ করেন। তখনও সমাজ ছিল পুরুষতান্ত্রিক। ফলে দিদ্দাকে অনেকের বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়। এমনকী ষড়যন্ত্র করে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু দিদ্দা বিদ্রোহ দমন করেন ও রাজ্যপাট সামলান। দিদ্দার লড়াইয়ের কাহিনি এখানেই শেষ নয়। ছেলে অভিমন্যুরও মৃত্যু হয় তাঁর জীবদ্দশাতেই। তারপর দিদ্দার তিন নাতিও অস্বাভাবিকভাবে মারা যায়। তবে এখানে একটু দ্বন্দ্ব রয়েছে। ইতিহাসবিদরা অনেকেই বলেন, দিদ্দা নিজেই তিন নাতিকে খুন করেন। তাঁর সাম্রাজ্য লিপ্সাই তাঁকে দিয়ে এমন জঘন্য অপরাধ ঘটায়।

তবে তাঁর কূটনৈতিক বুদ্ধি, যুদ্ধকৌশল ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রশংসিত হয় ইতিহাসে। তিনি দু’বার মাহমুদ গজনীকে পরাস্ত করেছিলেন। এছাড়া ব্যবসার জন্য বিশেষ মুদ্রাও চালু করেন দিদ্দা। সেখানে তাঁর ও কাসেমাগুপ্তর ছবি খোদিত ছিল। সেই গল্পই এবার উঠে আসবে বড়পর্দায়।। ছবির নাম ‘মণিকর্ণিকা রিটার্নস: দ্য লেজেন্ড অফ দিদ্দা’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 13 =