উদ্ধবের গাঁজা মন্তব্যের পাল্টা দিলেন কঙ্গনা, তোপ দাগলেন ‘ক্ষুদ্রমনস্ক ’ বলে

উদ্ধবের গাঁজা মন্তব্যের পাল্টা দিলেন কঙ্গনা, তোপ দাগলেন ‘ক্ষুদ্রমনস্ক ’ বলে

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যে মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন কঙ্গনা রানাউত৷ এমনকী মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গেও তুলনা করতে ছাড়েননি তিনি৷ আঙুল তুলেছেন মুম্বই পুলিশ ও উদ্ধব-পুত্র আদিত্য ঠাকরের দিকেও৷ রবিবার দশেরার ভাষণে কঙ্গনাকে তারই জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে৷ পাল্টা জবাবে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ক্ষুদ্র মনের, প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং অজ্ঞাত’ বলে তোপ দাগেন অভিনেত্রী৷   

আরও পড়ুন- ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না সৌমিত্র

প্রসঙ্গত, রবিবার ‘বিজয়াদশমী মেলা’য় দশেরার ভাষণে কঙ্গনার নাম না করেই তাঁর দিকে তির ছোড়েন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে৷ তিনি বলেন, ‘‘উনি মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করছেন৷ মুম্বই পুলিশকে অপদার্থ বলে মন্তব্য করছেন৷ এখানে নাকি সর্বত্র মাদকাসক্তরা ঘুরে বেড়ায়। উনি আসলে জানেন না যে, এখানে বাড়িতে বাড়িতে তুলসী গাছ হয়, গাঁজা নয়। গাঁজার খেত রয়েছে আপনাদের রাজ্যে। মহারাষ্ট্রে নয়।” এর পরই একের পর এক টুইট করে ক্ষোভ উগড়ে দেন কঙ্গনা৷ তিনি বলেন, হিমাচলকে ‘দেবভূমি’ বলে অভিহিত করা হয়৷ অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আপনি খুবই ক্ষুদ্র মনের৷ হিমাচলকে লোকে দেবভূমি বলে৷ এখানে অসংখ্য মন্দির রয়েছে৷ এখানে অপরাধ হয় না৷ হ্যাঁ, এখানকার মাটি সত্যিই উর্বর৷ এখানে আপেল, কিউই, বেদানা, স্ট্রবেরি সবকিছু হয়৷’’ আরও একটি টুইটে কঙ্গনা বলেন, ‘‘আপনি এমন এক রাজ্যের নেতা যেখানে হিংসা, প্রতিহিংসায় পূর্ণ৷ আপনার এমন একটি রাজ্যের প্রতি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা রয়েছে যেখানে কিনা শিব-পার্বতীর বাস৷ মার্কন্ডেয় এবং মনু ঋষির মতো অসংখ্য মহাপুরুষ এখানে ছিলেন৷ পাণ্ডবরা তাঁদের অজ্ঞাতবাসের সময় এই হিমাচলেই কাটিয়েছিলেন৷’’ 

আরও পড়ুন- ফের মানবিক, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ২ হাজার পিপিই কিট দিলেন শাহরুখ

এখানেই থেমে থাকেননি কঙ্গনা৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত৷ জন প্রতিনিধি হয়ে আপনি ক্ষুদ্র লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছেন৷ যাঁরা আপনার সঙ্গে সহমত নয়, আপনি তাঁদের অপমান ও অবমাননা করছেন৷ আপনি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির যোগ্য নন৷ লজ্জা৷’’ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে কঙ্গনা আরও বলেন, একজন ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রীর ধৃষ্টতা দেখুন৷ তিনি দেশকে বিভাজন করতে চাইছেন৷ কারা তাঁকে মহারাষ্ট্রের ঠিকাদার  বানিয়েছেন? তিনি শুধুমাত্র জনগণের সেবক৷ তাঁর আগে অন্য কেউ ছিলেন৷ খুব শীঘ্রই অন্য কেউ রাজ্যের সেবা করবেন৷ কেন তিনি মহারাষ্ট্রের মালিকের মতো আচরণ করছেন? ”  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + 16 =