মুম্বই: দেখতে দেখতে তিনমাস অতিক্রান্ত৷ সকলকে চির বিদায় জানিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথ ওরফে কেকে৷ ৩১ মে কলকাতায় ছিল কেকে লাইভ৷ ওটাই তাঁর শেষ অনুষ্ঠান৷ হোটেলে ফিরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন শিল্পী৷ এর পর সব শেষ৷ সম্প্রতি ছিল কেকে-র ৫৪তম জন্মবার্ষীকি। সেই উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল এক সঙ্গীত সন্ধ্যার। যেখানে প্রথমবার স্টেজ শো করেন কেকে-কন্যা তামারা আর পুত্র নকুল। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী শান। সুরে সুরেই প্রয়াত গায়কের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁরা৷ প্রথমবার কনসার্টে অংশ নিয়ে বাবার প্রতি সুরেলা শ্রদ্ধা জানানোর সেই বিশেষ মুহূর্ত নিজের ইনস্টা হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করেন তামারা৷
আরও পড়ুন- ‘বাবা ভেন্টিলেটরেই আছেন’, ‘ভুয়ো’ খবর নিয়ে প্রতিক্রিয়া রাজুর কন্যার
১৯৬৮ সালের ২৩ অগাস্ট জন্ম প্রয়াত সংগীতশিল্পী কেকে-র। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে তাঁর অকাল প্রয়াণে থমকে যায় সঙ্গীতের সুহানা সফর। তবে বাবার জন্মবার্ষিকীতেই নিজের নতুন জীবনের পথে পা বাড়ালেন মেয়ে তামারা৷ ২৩ তারিখেই প্রথম কনসার্ট করেন তিনি৷ মঞ্চে তাঁর সঙ্গ দেন শান৷ এর জন্য তাঁকে ধন্যবাদও জানান কেকে-কন্যা৷ শিল্পীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান তামারা৷
কনসার্টের বিভিন্ন ছবি পোস্ট করে তামারা লিখেছেন, ‘প্রথম গিগ! দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা৷ প্রত্যেক অসাধারণ সঙ্গীত শিল্পী যাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। @শান কাকাকে বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই ‘ইটস দ্য টাইম টু ডিস্কো’ গানটি এত মজাদার করে তোলার জন্য। ধন্যবাদ জানাই এভাবে পাশে থেকে উৎসাহ আর প্রেরণা দেওয়ার জন্য। বাবা হয়তো কোথাও বসে হাসছে। যেটা হচ্ছে সেটা বিশ্বাস করতে পারছি না। আর এটা ভাবনাটাও বন্ধ করতে পারছি না যে, যদি বাবা থাকত এখানে।’
কেকে-কে ছাড়া তাঁর প্রথম জন্মদিনে মন ভালো ছিল না তামারার। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবা-কে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছিলেন, ‘হ্যাপি বার্থ ডে বাবা। খুব মিস করছি তোমায়৷ আজ ৫০০ বার শুভেচ্ছা জানাতাম তোমাকে। মিস করছি ঘুম থেকে উঠে তোমার সঙ্গে কেক খেতে বসা। আশা করি ওখানে বসেই তুমি এখন যত ইচ্ছে কেক খেতে পারছ। তুমি চিন্তা করো না, আজ আমরা মাকে মন খারাপ করার একটুও সুযোগ দেব না। মাকে খুব বিরক্ত করব, যাতে মা রেগে যায়। আশা করব আজ তুমি আমাদের গান শুনতে পাবে৷ সব তোমার জন্য বাবা।’
অন্যদিকে, ১৯৯৯ সালে কেকে-র আসমিুদ্রহিমাচল সাড়া জাগানো ‘ইয়ারো দোস্তি’ গানটি নতুন করে রেকর্ড করেন সুরকার লেসলি লুইস। তিনি বলেন, “আজকের দিনটি আমার জীবনে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ‘ইয়ারো দোস্তি’ গানটি আবার রেকর্ড করলাম আমার বন্ধু কেকে-র দুই প্রতিভাবান ছেলে-মেয়ের সঙ্গে। ওই একই স্টুডিয়োতে৷ যেখানে দাঁড়িয়ে কেকে-র সঙ্গে এই গানটি রেকর্ড করেছিলাম।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>
