পেশোয়ারে রাজ কাপুর-দিলীপ কুমারের পৈতৃক ভিটে কিনছে ইমরান খানের সরকার

পেশোয়ারে রাজ কাপুর-দিলীপ কুমারের পৈতৃক ভিটে কিনছে ইমরান খানের সরকার

 

ইসলামাবাদ:  পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়ায় থাকা বলিউডের দুই কিংবদন্তি তারকা রাজ কাপুর এবং দিলীপ কুমারের পৈতৃক ভিটে কেবার সিদ্ধান্ত নিল সেদেশের প্রাদেশিক সরকার৷ দীর্ঘদিন ধরেই জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে ঐতিহাসিক বাড়ি দুটি৷ যে কোনও মুহূর্তে তা ভেঙে পড়তেও পারে৷ খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ জানিয়েছে, পেশোয়ার শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকা ঐতিহ্যশালী এই বাড়ি দুটি কেনার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে৷ বাড়ি দুটি কেনার পর সেগুলি জাতীয় হেরিটেজ হিসাবে ঘোষণা করা হবে৷ 

আরও পড়ুন- ফার্ম হাউজে রাত্রিবাস, বিদেশ ভ্রমণ! সুশান্ত-সম্পর্ক গভীর হলেও মাদকে ‘স্পিকটি নট’ সারা

এই বাড়ি দুটির মূল্য নির্ধারণের জন্য পেশোয়ারের ডেপুটি কমিশনারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ দেশ ভাগের আগে এই দুটি বাড়িতেই জন্ম হয়েছিল ভারতীয় চলচ্চিত্রের দুই কিংবদন্তি তারকার৷ এখানেই বেড়ে ওঠা তাঁদের৷ পেশোয়ারের কিসসা খাওয়ানি বাজার এলাকায় রয়েছে ‘কাপুর হাভেলি’৷ ১৯১৮ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে রাজ কাপুরের ঠাকুরদা দিওয়ান বাশেশ্বরনাথ কাপুর এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। ‘কাপুর হাভেলি’তেই জন্ম হয়েছিল রাজ কাপুর এবং তাঁর কাকা ত্রিলোক কাপুরের৷ এই বাড়িটিতে জাতীয় হেরিটেজ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে৷ এই এলাকাতেই রয়েছে দিলীপ কুমারের পৈতৃক ভিটে৷ তাঁর বাড়িটি শতাব্দী প্রাচীন৷ ২০১৪ সালে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এই বাড়িটিতে জাতীয় হেরিটেজ বলে ঘোষণা করেন৷ 

আরও পড়ুন- মাত্র ৩দিনেই স্বামীর বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তুলে নিলেন  পুনম পাণ্ডে

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. আবদুস সামেদ খান বলেন, এই বাড়ি দু’টির বর্তমান মালিকরা বেশ কয়েকবার বাড়িগুলি ভেঙে তার জায়গায় কমার্সিয়াল প্লাজা তৈরি করতে চেষ্টা করেছিল৷ বাড়িগুলির অবস্থানকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল তাঁরা৷ কিন্তু এই বাড়ি দুটির ঐতিহাসিক মূল্য বিচার করেই তা সংরক্ষণ করতে মরিয়া  প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ৷ যদিও বাড়ি ভাঙার কথা অস্বীকার করেছেন ‘কাপুর হাভেলি’র বর্তমান মালিক আলি কাদের৷ তিনি বলেন, এই বাড়িটি সংরক্ষণের জন্য তিনি নিজে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন৷ কারণ এটি জাতীয় গর্বের বিষয়৷ খাইবার পাখতুনখোয়া সরকারের কাছে এই বাড়ির মূল্য হিসেবে ২০০ কোটি টাকা চেয়েছেন তিনি। 

ঋষি কাপুরের আবেদনে সাড়া দিয়ে ২০১৮ সালে ‘কাপুর হাভেলি’কে মিউজিয়ামে পরিণত করার কথা চিন্তাভাবনা করে পাকিস্তান সরকার৷ ‘কাপুর হাভেলি’কে মিউজিয়াম করার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + 14 =