ধর্ষণে অভিযুক্ত কঙ্গনা রানাওয়াতের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী!

ধর্ষণে অভিযুক্ত কঙ্গনা রানাওয়াতের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী!

মুম্বই: নিজে সবসময় বিতর্কে থাকেন। বরং বলা ভালো, আজকাল বিতর্কের অন্য নাম কঙ্গনা রানাওয়াত। রাজনৈতিক ইস্যু থেকে শুরু করে মহামারী, প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে বলিউড, সবক্ষেত্রেই কঙ্গনা রানাওয়াত তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্য করে থাকেন এবং স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক সৃষ্টি করেন। এবারে ফের একবার বিতর্কে জড়ালেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী। তবে এবার নিজের কারণে নয়, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীর কারণে। অভিনেত্রীর দেহরক্ষী ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়েছেন! বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছেন তিনি এমন অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

জানা গিয়েছে, আন্ধেরির এক বিউটিশিয়ানের অভিযোগ, কঙ্গনা রানাওয়াতের দেহরক্ষী তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছেন এবং প্রতারণা করার পাশাপাশি বিকৃত যৌনাচারের কথা বলেছেন ঐ মহিলা। অভিযোগকারিণীর দাবি, দীর্ঘ আট বছর ধরে কঙ্গনা রানাওয়াতের দেহরক্ষী কুমার হেগড়েকে চেনেন তিনি। গত বছর জুন মাসে ওই মহিলাকে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং একাধিকবার তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে ওই মহিলার থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়ে ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। ওই বিউটিশিয়ানের বয়ান অনুযায়ী, পরবর্তী ক্ষেত্রে কুমার জানিয়েছিলেন যে তিনি তার সঙ্গে কোনো রকম সম্পর্ক রাখতে চান না। যদিও সরাসরি এই ব্যাপারে কিছু বলেননি তিনি, এক বন্ধুর মারফত জানিয়েছিলেন সেটি। এমনকি ওই অভিযোগকারিণী বলছেন, একজন মহিলা কুমারের মা পরিচয় দিয়ে তাকে ফোন করে বলেছেন যে কুমারের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। ঘটনা বেগতিক হচ্ছে দেখে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে এই ব্যাপারে জানান তিনি। 

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মুম্বই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৩৭৭ ধারায় মামলা রুজু করেছে এবং প্রতারণার অভিযোগে ৪২০ ভারতীয় মামলা রুজু করা হয়েছে। ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হওয়ায় একাধিকবার কঙ্গনা রানাওয়াতকে কুমারের সঙ্গে দেখা গিয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। যদিও এই ঘটনা নিয়ে এখনো পর্যন্ত মুখ খোলেননি অভিনেত্রী। বিগত কয়েক মাস ধরে নতুনভাবে বিতর্কে রয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। সম্প্রতি বাংলার বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করে একাধিক বিতর্কিত পোস্ট করেন তিনি। টুইটারে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার জেরে তাঁর একাউন্ট সাসপেন্ড পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 1 =